happy vহ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে। মিশুকে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়েই হঠাৎ গোলাপের স্টিকটা মিশুর মুখের সামনে ধরে সজল। কিংকর্তববিমূঢ় মিশু কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। প্লিজ, বলে আরেকটু এগিয়ে দাঁড়ায়। মিশু চারদিকে একপলক তাকিয়ে গোলাপ স্টিকটা হাতে নেয়।
সজল-’আই লাভ ইউ’। মিশুকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই দ্রুত চলে যায়।
সজল খুবই সহজ সরল একটা ছেলে। গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের অতি ভদ্র যাকে বলে। পড়ালেখায় ব্রিলিয়ান্ট বলা যাবে না। কেননা, ব্রিলিয়ান্ট হলে বিজনেস কলেজে অ্যাকাউন্টিং না পড়ে কোনো ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত।
শুধু পড়ালেখা নয়, নিজের সেমিস্টার ফি নিজেকেই ম্যানেজ করতে হয়। তাই তো অস্ট্রেলিয়ায় এসেই কাজের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বাঙালি একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের জব মেলে। কাজটা পেয়ে সজল অনেক খুশি। কারণ, থাকা-খাওয়ার কোনো ঝুটজামেলা নেই। রেস্টুরেন্টের ওপরেই থাকার ব্যবস্থা। এতটা সুযোগ যে সজল এত সহজে পেয়ে যাবে, তা সে ভাবতেও পারেনি। অবশ্য এর জন্য সজলকে বাড়তি অনেক কাজ করতে হয়। যেমন সব কর্মচারীর আগে এসে রেস্টুরেন্ট ওপেন করা, রেস্টুরেন্টের যাবতীয় শপিং করা এবং সবার পরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করা ইত্যাদি।
মিশু বাংলাদেশি মেয়ে। বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশ হবে। উলওয়ার্থ সুপার মার্কেটে কাস্টমার সার্ভিসে জব করে। মিশুর গায়ের রংটা হালকা ডার্ক হলেও বেশ আবেদনময়ী চেহারা। পুরু ঠোঁট। ডাগর ডাগর চোখ। টান টান শরীরের গঠন। এককথায় ইংরেজিতে যাকে বলে সেক্সি। চাহনিটা একটু দুষ্ট প্রকৃতির, তবে মনটা খুবই নরম।
সজলের রেস্টুরেন্ট থেকে উলওয়ার্থ সুপার মার্কেট মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা। প্রায় প্রতিদিনই সজলকে উলওয়ার্থে আসতে হয় রেস্টুরেন্টের জন্য শপিং করতে। উলওয়ার্থ শপিং কাউন্টারের কিউতে দাঁড়িয়ে বিস্ময়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সজল। আশ্চর্য! বাঙালি মেয়ে? এর আগে তো মেয়েটিকে কখনো দেখিনি। মেয়েটির বুকে নেইম ট্যাগে মিশু লেখা দেখে সজল আরো নিশ্চিত হয় যে মেয়েটি বাঙালি। সে ফ্যালফেলিয়ে মিশুর দিকে তাকিয়ে থাকে।
মিশু নেক্সট প্লিজ, এক্সকিউজ মি, নেক্সট প্লিজ।
সজলের তন্দ্রা ফিরে আসে। মিশু সজলের হাবভাব দেখে না হেসে আর পারে না। এমনিতেই মিশু মিষ্টি হাসির অধিকারী। হাসলে তাকে অপূর্ব দেখায়। তার ওপর কাস্টমার সার্ভিস করে। কাস্টমারের সাথে হেসে কথা বলা তার নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। হাসিটা এড়াতে পারেনি সজলের চোখ। তার হৃদয়ে কোনো অচেনা সুর বেজে ওঠে। প্রথম দেখাতেই সামান্য একটু মুচকি হাসি কাউকে এতটা ভাবিয়ে তুলতে পারে সজলের তা জানা ছিল না। শেকড়ের টান আর মাটির গন্ধ যে কতটা শক্তিশালী, তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন হয় না।
মাল্টিকালচারাল দেশ অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম শহর সিডনিকে বলা হয় সুন্দরী ললনাদের শহর। আশপাশে চোখ তুলে তাকালে সাদা-কালো, লাল-নীল, অর্ধ উলঙ্গ পরিদের অভাব নেই। পড়ালেখা আর কাজের চাপে কারো দিকে তাকানোর সময় নেই সজলের। অথচ একদিন একবার একটু মুচকি হাসির এই বাঙালি মেয়েটি সজলের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
সজল প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে উলওয়ার্থ সুপার মার্কেটে আশা-যাওয়া শুরু করে। কোনো কিছু কেনার প্রয়োজন না হলেও কেনে। সব কাউন্টার খালি থাকলেও ঘুরে ফিরে মিশুর কাউন্টারেই আসবে। মুখে বলতে সাহস না পেলেও ইশারা ইঙ্গিতে মিশুকে বুঝিয়ে দিচ্ছে সজল তাকে লাইক করে। মিশু সেটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে। একদিন সজল খুব সাহস করে বলে বসল-
আপনি নিশ্চই বাঙালি?
সরি?
ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড বাংলা?
নো।
ভালোই হলো।
মানে?
বাংলায় গালি দিলেও বুঝবেন না।
মিশু আর না হেসে পারে না।
চমৎকার।
কী?
টমেটো।
টক।
আই লাভ টক।
নেক্সট প্লিজ।
সি ইউ অ্যাট নাইট।
হোয়াট?
স্বপ্নে। সজল শপিং নিয়ে চলে যায়।
মিশু মনে মনে ভাবে, হোয়াট আ ফানি গাই!
এমনি করে সজল প্রায়ই দুষ্টামির ছলে অনেক কথাই বলে। কখনো মিশু রেগে যাচ্ছে দেখলে কথা অন্যদিকে কাটিয়ে নেয় অথবা সরি বলে কেটে পড়ে। সজল মনে মনে ভাবে, না, এমনি করে হবে না।
মিশুকে তার মনের আসল কথাটা বলতে হবে। কিন্তু কীভাবে? কখন? কোথায়? অনেক ভেবেচিন্তে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয় সামনে ভ্যালেন্টাইন ডে, ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবসেই ভালোবাসার কথা জানাবে তার ভালো লাগার মানুষটিকে।
সজলের রেস্টুরেন্টে আরো একটি ইয়াং ছেলে পার্টটাইম ওয়েটারের জব করে। তার নাম অয়ন। বয়স ছাব্বিশ-সাতাশ হবে। শুধু উইকেন্ডে আসে। ছেলেটি খুবই স্মার্ট। চমৎকার ইংরেজি বলে। হুবহু অসিদের মতো। খুব অল্প বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। চালচলন, পোশাক-আশাক খুবই স্টাইলিস্ট। অয়নের সাথে সজলের কথা বলার তেমন সুযোগ হয়ে ওঠে না। কারণ, অয়ন যখন ডিউটিতে আসে রেস্টুরেন্ট তখন খুবই বিজি থাকে। তাছাড়া অয়ন যেটুকু সময় পায় তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে মোবাইলে কথা বলতে ব্যস্ত থাকে। যে কোনো কারণে আজ অয়ন সজলের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলেছে।
অয়ন-বি স্মার্ট ম্যান। ক্লাবে যাও, ড্রিংক করো, ডান্স করো, গার্লফ্রেন্ড বানাও, লাইফটাকে এনজয় করো। সজল হেসে উড়িয়ে দেয়।
আমার মতো হাদারামকে ভালোবাসবে কে?
হোয়াট আর ইউ টকিং ম্যান?
মেয়েরা তোমার মতো ছেলেদের বেশি পছন্দ করে। অ্যানি ওয়ে সজল, ক্যান ইউ ডু মি এ বিগ ফেবার প্লিজ?
বিগ ফেবার?
আমি কি তোমার রুমটা এক ঘণ্টার জন্য পেতে পারি?
আমার রুম! আমার রুম দিয়ে তুমি কী করবে?
ইয়ে...আই মিন, আগামীকাল ভ্যালেন্টাইন ডে। আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেটিং আছে। আর বোলো না, সিডনিতে বাঙালিতে ভরে গেছে, গার্লফ্রেন্ড নিয়ে কোথাও নিরিবিলি বসে একটু গল্প করা যায় না। বাঙালিরা হা করে তাকিয়ে থাকে। ডিসগাস্টিং।
সজল এই শহরে নতুন হলেও এই কয়েক মাসে এটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছে, অয়ন তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ডার্লিং হারবার কিংবা অপেরা হাউজের সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে তার গার্লফ্রেন্ডের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে আদর করলেও কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকাবে না। কিন্তু অয়ন হয়তো তার গার্লফ্রেন্ডের কাছে আরো বেশি কিছু প্রত্যাশা করে, যা ডার্লিং হারবার কিংবা অপেরা হাউজের মতো পাবলিক প্লেসে সম্ভব নয়। আর এ কারণেই অয়ন সজলের রুমটা ব্যবহার করতে চায়।
রেস্টুরেন্টে কাস্টমার চলে আসায় ওদের কথা আর বেশি দূর এগোয় না। ওরা নিজ নিজ ডিউটিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সজল মনে মনে ভাবে, নাইট ক্লাব, ড্রিংক, ডান্স, ওয়েস্টার্ন মডার্ন কালচার, ডানাকাটা পরি-এসব কিছু সজলের দ্বারা সম্ভব নয়। সজল চায় সহজ সরল, সাদামাটা, মার্জিত খাঁটি বাঙালি মেয়ে। ঠিক মিশুর মতো একজনকে।
আজ সেই কাক্সিক্ষত দিন-১৪ ফেব্রুয়ারি। ভ্যালেন্টাইন ডে। কলেজ থেকে ফেরার পথে গোলাপের একটি স্টিক কিনে নিয়ে আসে সজল। গোসল সেরে সুন্দর করে ড্রেসআপ করে। পারফিউম মেরে স্টিকটা হাতে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকবার রিহার্সেল করে। সজল খুব সাহস সঞ্চয় করে মনে মনে বলে, যা আছে কপালে, আজ সে মিশুকে প্রপোস করবেই। যেমন কথা তেমন কাজ। গোলাপের স্টিক হাতে ঠিক ছয়টা বাজার আগেই গিয়ে হাজির হয় উলওয়ার্থ সুপার মার্কেটের সামনে।
ভ্যালেন্টাইন ডে, তাই রেস্টুরেন্ট প্রচ- বিজি। তার ওপর অয়ন আসেনি। কারণ, ভ্যালেন্টাইন ডেতে সে কাজ করবে না বলে আগেই অফ নিয়েছে। সজল কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও আজ তার মনটা অনেক ভালো। যদিও মিশু গোলাপটা নিয়ে কিছুই বলেনি কিন্তু প্রতিবাদও করেনি। নীরবতা সম্মতির লক্ষণ। তা ছাড়া সজল জানে, সব কথা মুখে বলা লাগে না। মানুষের চোখ যে মনের কথা বলে। সজল তার উত্তর পেয়ে গেছে।
আগের কথা অনুযায়ী অয়ন তার গার্লফ্রেন্ডকে গাড়িতে বসিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় আসে রুমের চাবি নিতে। সজল অয়নকে তার রুমের চাবিটা দিয়ে দেয়।
কাম ম্যান, লেটস ইনট্রোডিউস মাই গার্লফ্রেন্ড।
এখন না, পরে একসময়।
ওকে দ্যান।
্এ্যনজয় ইউর টাইম।
আই উইল, আই উইল।
অয়ন চাবি নিয়ে চলে যায়।
রাত আটটার দিকে রেস্টুরেন্ট ফুল। সজলের সাথে ম্যানেজারকেও ফুল সার্ভিস দিতে হচ্ছে। আজ বিজির দিনে অফ নেওয়ায় অয়নের ওপর ম্যানেজারের ভীষণ রাগ হয়। একে তো বিজি, দম ছাড়ার উপায় নেই, তার ওপর থেমে থেমেই বারবার মিশুর হাসিমাখা মুখখানা সজলের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সজল প্রায়ই অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে। এক টেবিলের অর্ডার অন্য টেবিলে, ওয়াইনের পরিবর্তে হুইস্কি-সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ একটা রেড ওয়াইনের গ্লাস কাত হয়ে সজলের বুকে পড়ে তার সাদা শার্ট লাল হয়ে যায়। ওয়াইন গ্লাসটা ফ্লোরে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। ম্যানেজার চোখ বড় করে দৌড়ে আসে।
হোয়াটস রং উইথ ইউ সজল?
সজল নার্ভাস হয়ে ভাঙা কাচের টুকরোগুলো তুলতে থাকে। ভয়ে তার হাত কাঁপছে দেখেও ম্যানেজার সজলকে যা-তা বলল। রেড ওয়াইনে ভেজা সাদা শার্ট বুকের সাথে লেপটে লাল হয়ে আছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে রক্তে বুক ভেসে গেছে।
ম্যানেজার-হ্যাঁ করে দেখছ কী? তাড়াতাড়ি রুমে যাও, শার্ট চেঞ্জ করে এসো। সজল তার পকেট হাতিয়ে চাবি খুঁচ্ছে পাচ্ছে না। পাবে কীভাবে, সজল তো চাবি দিয়েছে অয়নকে। অস্থিরতায় সজল সে কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
কী ব্যাপার, দাঁড়িয়ে আছো কেন?
ইয়ে মানে রুমের চাবি পাচ্ছি না।
ওহ মাই গড! ইউ আর সাচ এন...।
ম্যানেজার বলতে গিয়ে আর বলল না। কিন্তু সজলের বুঝতে বাকি রইল না ম্যানেজার কী বলতে চেয়েছিল। সজলের ইচ্ছে হলো শার্টটা খুলে ম্যানেজারের মুখের ওপর ছুড়ে মেরে চলে যায়। কিন্তু না, কিছুতেই এই চাকরিটা খোয়ানো যাবে না। তাই ম্যানেজারের সব কথা মুখ বুজে হজম করে সে।
ম্যানেজার ক্যাশ রেজিস্টার খুলে হুবহু সজলের চাবির মতো এক সেট চাবি তাকে দিয়ে বলল-
যাও, তাড়াতাড়ি শার্ট চেঞ্জ করে আসো। এক মিনিটের মধ্য যাবে আর আসবে। সজল চাবিটা হাতে নিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছে আর ভাবছে, আর্শ্চয! শালা ম্যানেজার আমার রুমের চাবি পেল কীভাবে? মনে মনে বিড়বিড় করে ম্যানেজারকে গালাগালি করতে থাকে।
সজলের রুমের ভেতর অয়ন আর তার গার্লফ্রেন্ড মিশু সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। ওরা দুজন খুবই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। দরজার অপর প্রান্তে কারো শব্দ পেয়ে দুজন লাফ মেরে উঠে বসে। ওরা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে কেউ একজন চাবি দিয়ে দরজা খুলছে। তাড়াহুড়া করে ওরা সম্পূর্ণ ড্রেস না পরতেই সজল দরজা খুলে রুমে ঢুকে পড়ে। মিশু ড্রেস হাতে নিয়ে দৌড় দিয়ে বাথরুমে ঢোকে।
সজল-হোয়াট ইস দিস? নক না করে...।
অয়নকে দেখে সজলের ঘোর কেটে যায়।
সজলের বুঝতে বাকি রইল না যে সজল কত বড় স্টুপিডের কাজ করেছে। লজ্জায় তার মাথা হেট হয়ে যায়।
বিশ্বাস করো অয়ন, আমার বিন্দুমাত্র স্মরণ ছিল না যে তোমরা...।
ডু ইউ থিঙ্ক আই অ্যাম অ্যান স্টুপিড? মিশু, মিশু, কামন গেটআউট অ্যান্ড লেটস গো।
‘মিশু’ নামটা শুনে সজল চমকে ওঠে। মিশু বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে সজলকে আরো চমকে দেয়। আশ্চর্য! এ তো সজলের মিশু! মাত্র সন্ধ্যাবেলায় যাকে গোলাপ স্টিক দিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে উইশ করে প্রেম নিবেদন করেছিল। মিশুকে দেখে সজলের হৃৎপি- স্তব্ধ হয়ে যায়। চোখেমুখে ঘোর অমাবশ্যার অন্ধকার নেমে আসে। রক্ত হিম হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সজলের সাজানো স্বপ্ন চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। অয়ন আর মিশু ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে সজল লজ্জা আর অপমানে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে।

সাম্প্রতিক