আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের সাথে লাগোয়া সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার আইএস জিহাদিদের আতœঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। এদিকে উভয় দেশে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের ওপর চাপ ক্রমেই আরো জোরদার করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
মঙ্গলবার ইরাকে আইএসের পৃথক এক হামলায় ১০ সৈন্য নিহত হয়েছে। আইএসের হামলায় এভাবে লোকজন নিহত হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিরসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, সিরীয় সংঘাত নিয়ে মস্কো ও ওয়াশিংটনের অবস্থান বিপরীতমুখী।
ট্রাম্পের সহকারিরা জানান, ট্রাম্প ও পুতিন দীর্ঘ মেয়াদি মানবিক শান্তি অর্জনে সিরিয়ার নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা জোনসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তবে সম্ভাব্য নিরাপত্তা জোনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
ইরাকের সাথে সিরীয় সীমান্তে যে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে জিহাদিরা হামলা চালায় সেখানে প্রায় ৩শ’ পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য অপেক্ষা করছিল। এলাকাটি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক সিরীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, হাসাকেহ প্রদেশে ওই আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে কমপক্ষে পাঁচজন আতœঘাতী বোমা হামলাকারী এ হামলা চালায়।
পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রামি আব্দেল রাহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সেখানে জিহাদি ও এসডিএফের মধ্যে প্রচন্ড রকমের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পর্যবেক্ষণ গ্রুপ জানায়, এতে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
আইএস এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
< Prev | Next > |
---|