এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নয় প্রতিটি সিটি, উপজেলা, পৌরসভা, এবং ইউপি নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিবারই অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নির্বাচনের বিভিন্ন প্রার্থী, সুশীল সমাজ নির্বাচনে সেনা মোতায়ন প্রত্যাশা করে থাকে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে বলেই হয়তোবা বারবারই অভিব্যক্তি ও জনঅভিমতের প্রত্যাশা ফুটে ওঠে। সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে এমন হওয়ার কথা নয়। যে কারণে সেনাবাহিনী স্বাধীনতার পর থেকে বহুবার জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে তাদের ন্যায় নিষ্ঠা, শ্রম ও কঠোরতার মাধ্যমে দেশবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্যতার যথেষ্ট সুষ্পষ্ট প্রমাণ রেখেছে।
তদোপরি বন্যা ও খরা মৌসুমে ওয়াসার পানিবন্টন, ডেসার বিদ্যুৎ সঞ্চালন, রাজধানীর যানঝট সমস্যার সমাধান, রাস্তাঘাট উন্নয়ন কার্যক্রম, যোগাযোগ ব্যবস্থার রাতারাতি পূনঃস্থাপন, ভূমি ধস, এমনকি আইডি কার্ড প্রণয়ন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম, ভিজিডি কার্ড সঞ্চালন, টিআর, কাবিখার তদারকি, রিলিফের আত্মসাৎকৃত টিন উদ্ধার, বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার, ইয়াবা ফেন্সিডিলের চালান জব্দ, রানা প্লাজা ধসে আহত নিহদের উদ্ধার সহ অগণিত সমস্যার আশু সমাধানের ব্যাপারে নির্বাহি বিভাগের পাশে থেকে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী কাজ করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে থাকে। যে কারণে পরিক্ষিত সেনাবাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয়, চিরভাশ্বর ও চির অম্লান হিসেবে দেশের মানুষের মনে এবং ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। তাছাড়া এদেশের সেনাবাহিনী এ দেশেরই সন্তান। ওরা কোন বিদেশী প্রভুর আশীবার্দ ও আদেশে আদিষ্ট নয়। দেশের জন্য ত্যাগ, মায়া সমতা ও নিবিড় ভালোবাসা কারো চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে হানাদার বাহিনীকে বাধা ও মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে তাদের অবদান জাতির জন্য অবিস্মরণীয় গৌরবোজ্জল অধ্যায়।
অতীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী দায়িত্বপালন সহ ২০০২ এর অপারেশন ক্লিনহার্ট ও ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময়ও নির্বাহী বিভাগ ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটদের সমন্বয়ে এবং তাদের হাই কমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কর্মপন্থা ঠিক করেছে। যে কোন নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই আনসার, পুলিশ, আর্ম ব্যাটেলিয়ান, এ্যালিট ফোর্স র্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবি আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাতে এ সমস্ত বাহিনীরও যথেষ্ট অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ পরাহত। কিন্তু আনসার, পুলিশ
চলমান পাতা/২
পাতা: ২
ও র্যাব যেহেতু জনগণের নিয়োজিত থাকে ফলে ওরা বেশী পরিচিত হওয়াতে অনেক সময় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে শ্যাম রাখি না কুল রাখি এই মর্মে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়। যার প্রেক্ষিতে চক্ষুলজ্জার কারণে অনেক সময় যথাযথ দায়িত্ব পালনে সিদ্ধান্তহীনতার বেড়াজালে হাবুডুবু খেয়ে থাকে। তাই তাদের পাশাপাশি আরো আস্থা ও নির্ভরশীলতার প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রত্যাশা করে থাকে। এজন্যই ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের সাথে ইসি, সিইসির বৈঠককালে প্রায় সকলেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের সেনাবাহিনী মোতায়ন সহ বেশ কয়েকটি ব্যাপারে গুরুত্বারোপের কথা জানা যায়। জানা যায়, উক্ত অনুষ্ঠানে ৫৯ জনের মতো সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানালে উক্ত অনুষ্ঠানে ৩৮ জন উপস্থিত থাকেন। তবে প্রত্যাশা ও ইচ্ছা মোতাবেক সময় নিয়ে কথা বলতে পারবেন না বলে কয়েকজন উক্ত অনুষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকেননি। সিইসির বৈঠকে সুশীল সমাজের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক তত্তাবধায়ক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ড. তাসলিম আরিফা সিদ্দিকী, ড. সাদত হোসেন, ড. ইফতে খারুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশ্লেষক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ। প্রত্যেকেই অনুষ্ঠানে অন্যান্য মতামতের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়নের জন্য সিইসির প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন সংবিধানের ১১৮(৪) ধারা অনুযায়ী যথার্থ স্বাধীন, শক্তিশালী ও সাহসী নির্বাচন কমিশন হতে হবে। ইসি কাগুজে বাঘ হইলে চলবেনা। তাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সেনাবাহিনীকে যদি ফিলিংস্টেশন, রাস্তাঘাটা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যায় তবে কেন নির্বাচনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অন্তর্ভূক্তি করা যাবে না।
এ লক্ষ্যে জন প্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এ (আরপিও) সংশোধনী এনে বিলুপ্ত বিধানটি যা আইন শৃংখলা বাহিনীর সংজ্ঞায় “সশস্ত্র বাহিনী” সংযোজন মুখ্য বিষয় বলে আইন বিশ্লেষকরা মনে করে থাকেন। যা ইসি, সিইসি ও সুশীল সমাজের আলোচনায় যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়ে থাকে। নির্বাচনে আইন শৃংখলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীর অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ছিল। পরবর্তী সময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিধান তুলে দেয়া হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর এই অধ্যাদেশ সংসদে পাস হয়। এ পর্যন্ত আরপিওতে (জচঙ) ১১ বার সংশোধনী আনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুচ্ছেদে অন্তত ২০৯টি বিষয়ে সংযোজন বিয়োজন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) আইন ২০১৩ বিল পাস হয়। অগনিত এমন যুক্তি রয়েছে যা নিরপেক্ষভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করলে জনস্বার্থে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার সুযোগ না থাকারই কথা। দুনিয়ার উন্নত, অনুন্নত অনেক দেশের সেনাবাহিনীর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আদিষ্ট হয়ে অনেক সময়ই দেশের নির্বাহী বিভাগের পাশে থেকে হাতে হাত মিলিয়ে নির্বাচনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালনের নজির রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, বার্মা, শ্রীলংকা এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের উদাহরণও এ পর্যায়ে টেনে আনা যেতে পারে। তদোপরি নিকট অতীতে বাংলাদেশেও এর যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে।
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভৈরবসহ বেশ কয়েকটি এলাকার নির্বাচনের হাল হকিকত জানতে ও দেখতে গিয়ে দেখা যায় অনেক কেন্দ্রে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্ষদের লোকদের মোতায়ন এবং ম্যাজিষ্ট্রেটগণ যথারীতি দায়িত্বপালন করলেও ভোট কেন্দ্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থা লেগেই ছিল। চেষ্টা করে কোন অবস্থাতেই আইনশৃংখলা বাহিনী ভোট কেন্দ্রের জটলা, কোলাহল ও বিশৃংখলা থামাতেই পারছিলনা। তখন নীরবে এ বিশৃংখল অবস্থা দেখা ছাড়া কারো কোন উপায় ছিল না। এমনকি হাতে গুণা দায়িত্বরত ২/৩ জন আনসার ও আইনশৃংখলার অন্যান্য সংস্থার লোকদের পক্ষে বেশি কিছু করাও অবস্থা ছিল না। ভোট কেন্দ্রের অবস্থাটা ছিল এমন জোর যার মুল্লূক তার। এমন সময় দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্সের টহলরহ গাড়ী আসার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রের ভিতর ও বাহিরের পরিবেশ ও বিশৃংখল অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে শান্তি শৃংখলা ফিরে আসে। তাতে দেখা যায়, অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী অনেকক্ষণ আপ্রাণ চেষ্টা করেও যেখানে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পারছিলনা, সেখানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়। তাই কথায় বলে কারো যেমন খাটে বাড়ে, তেমনি কারো খাটে ধারে। ২০১৮-২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটাররা কিভাবে তাদের পছন্দসই প্রার্থীকে নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে পারবে এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম.নূরুল হুদা ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের অভিমত আহবানকালে উপস্থিত সুশীল সমাজের
চলমান পাতা/৩
পাতা: ৩
মতামত ও নির্বাচনে সেনামোতায়নের পক্ষে সুষ্পষ্ট অভিমত ০১/৮/২০১৭ ইং বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ মিডিয়াতে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে থাকে। অনেক গণমাধ্যমে “নির্বাচনে সেনা মোতায়ন” এই মর্মে প্রচ্ছদ সংবাদও প্রকাশিত হয়।
নির্বাচন বিশ্লেষক সহ অনেকের অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা চলে, অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচন কেন্দ্রে সুষ্টু পরিবেশ সৃষ্টির নিরিখে নির্বাচনের ১০/১৫ দিন আগ থেকেই নির্বাচনী কেন্দ্র ও আশেপাশে সেনা টহল এবং জেলা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অবশ্যম্ভাবী উপস্থিতি বলেও অনেকেই মনে করে থাকে। আগামী সংসদ নির্বাচন সকল দল ও মতের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ অনুষ্ঠিত হোক ইহাই দেশের মানুষের প্রাণের কথা। দেশের মানুষ কোন অবস্থাতেই আর অতীতের মতো একতরফা নির্বাচন একতরফা সংসদ (ঢ়ধৎষরধসবহঃ) এক তরফা ভোটার বিহীন সংসদ সদস্য (সবসনবৎ ড়ভ ঢ়ধৎষরধসবহঃ) আর দেখতে চায়না দেশের মানুষের যেমনি কামনা বাসনা, প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক আদলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, তেমনিভাবে দেখতে চায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কোলাহল মুখর পার্লামেন্ট।
একটি সংসদ নির্বাচনে গরীব দেশের মানুষের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সেই নির্বাচন যদি দেশ বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি না করতে পারে, আবার সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচন দেয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় তবে তা যেমনি দুঃখজনক তেমনি দাতা দেশসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বে পরিচয় দেয়াটাও অভিশপ্তের মতই। ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচন ও বিনা ভোটেই নির্বাচিত ১৫৩ জন সংসদ সদস্য দেশ ও বিদেশে গণতন্ত্রের বুঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদোপরি যে সমস্ত নির্বাচনের ৫ বছর সাংবিধানিক সময় পার হওয়ার আগেই পুনরায় নির্বাচন দিয়ে জনগণের কথিত কোটি কোটি টাকার হিসেবই বা দিবে কে বা কাহারা। একাদশ নির্বাচনে প্রত্যাশিত সেনা মোতায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হোক এবং এখন থেকেই ইসি সিইসির নির্বাচনের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে এ প্রবিধানটি মুখ্য কার্যক্রম বলে সুশীল সমাজের সাথে ইসি ও সিইসির আলোচনার প্রেক্ষাপটে অনেকেই মনে করে থাকে।
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন ও বিতর্কিত সিইসির মতো বর্তমান ইসি, সিইসিকে নিয়ে দেশের মানুষ এমন আর দেখতে চায় না। মানুষ দেখতে চায় নতুন আলোর দিশারী। এসব কিছুর স্বার্থ কথা যেমন নতুন ইসি, সিইসিকে উদ্ভাষিত করবে, তেমনি ভুলের জন্য খেসারতও গুণতে হবে ইসি এবং সিইসিরই।
তাই গণতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, “আমি সত্যকে বিসর্জন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে বাধ্য নই। আমি আমার জ্ঞানের আলো বিসর্জন দিয়ে সাফল্য ছিনিয়ে নিতে বাধ্য নই। আমি অবশ্যই সেই লোকটির পিছনে থাকব যতক্ষণ সে সত্যের পথে থাকে। আর যখন সে সত্য থেকে পদচুৎ হবে, বিভ্রান্ত হবে, আঁকাবাঁকা পথে চলবে, তখন আমিও তাকে ত্যাগ করব”।
এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
লেখক কলামিষ্ট
< Prev | Next > |
---|