স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে চতুর্থবারের মত সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি-এপিএ করতে যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা এই চুক্তিতে সই করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১, এসডিজি ২০৩০, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার এপিএর আওতা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে জানিয়ে জিয়াউল বলেন, অর্থবছর শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গড়ে ৮৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এপিএ বাস্তবায়ন করেছে বলে জানান তিনি।
জিয়াউল বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট এপিএ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ৫১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগসহ আওতাধীন অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এজন্য তিনটি পৃথক নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এসব নীতিমালার আলোকে এপিএর খসড়া যথাযথভাবে প্রণীত হয়েছে কিনা- তা খতিয়ে দেখতে এ-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সদস্যদের নিয়ে ১৪টি পর্যালোচনা সভা হয়েছে। এসব সভার সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওইসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী এপিএর খসড়া অনুমোদন করেছেন।
এপিএ-তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং এসব উদ্দেশ্য অর্জনে গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়, অর্থবছরে শেষে যার মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে প্রথমবারের মতো এপিএ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাশাপাশি এসবের অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এই চুক্তি হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা ছাড়াও বিভাগীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সঙ্গে এপিএ করা হয়। এবার এর আওতা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কার্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
< Prev | Next > |
---|