rape-bdস্টাফ রিপোর্টার: আড়াইহাজারে এক বখাটের প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় সপ্তম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে তার উপর শারীরিক নির্যাতন ও গণধর্ষনের অভিযোগে পুলিশ ৩ লম্পটকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত তিন ধর্ষক হচ্ছে, উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের রমিজউদ্দীনের ছেলে রিপন ওরফে বড় ভাই (২২), সতুর ছেলে দেলু (১৮) ও মঞ্জুরের ছেলে জুয়েল (২০)। তারা প্রত্যেকে ছাত্রীটিকে ধর্ষণের কথা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এর মধ্যে মূল হোতা আড়াইহাজার বাজারে পিংকি মার্কেটে দ্বিতীয়তলায় নিউ ভি আইপি টেনলার্স এ- বোরকা হাউজে সেলাইয়ের কাজ করে। আর বাকী ২ জনের মধ্যে দেলু ইটভাঙ্গার কাজ এবং রিপনে বালু টানার কাজ করে।

আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আরিফ জানান, নরসিংদী জেলাধিন দস্তরদী এলাকার এক ইট বালু ব্যবসায়ীর শিশু কন্যা (১৩) প্রায় এক বছর যাবত উপজেলার ব্রাহ্মন্দী‏ ষাড়পাড়া এলাকায় তার নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। তার বাবার বাড়ী নরসিংদীর মাধবদী থানার দস্তরদী গ্রামে।

১১জুলাই দুপুরে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে তার এক বান্ধবীর সাথে সাজতে যায়। ২টার দিকে সেখান থেকে শিশুটি একা হেটে নানার বাড়ি ফেরার পথে সড়কে একটি প্রাইভেটকার যোগে প্রেমিক সুজন সহ ৬/৭ জন যুবক শিশুটিকে মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে তাকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় একটি ঘরে আটকে রেখে শিশুটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। ধর্ষণ করতে বাধাঁ দেওয়ায় শিশুটির দেহে জলন্ত সিগারেটের আগুন দিয়ে পা সহ বেশ কয়েক স্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শিশুটিকে দুই দিন অভুক্ত রেখে সুজন সহ বেশ কয়েকজন মিলে শিশুটিকে গণধর্ষণ করে।

বুধবার রাতে সাড়ে এগারোটার দিকে অপহরণকারীরা শিশুটিকে উপজেলার আব্দুল্যাহপুর ব্রীজের নিকট ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। শিশুটি রাতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘটনাটি জানালে বৃহস্পতিবার শিশুটির মা ও নানা থানায় এসে অভিযোগ দেন। ধর্ষিতা শিশুটি জানান, প্রায়ই তার এক বন্ধবীর সহযোগিতায় সুজন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শিশুটির ফুফু নাহিদা জানান, সুজন আমাকে মোবাইলে টাকা দাবি করে হুমকি দেয়। অপহৃত শিশুটি উপজেলার কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী।

ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, প্রেম করতে না পেরে সুজন তার লোকজন নিয়ে আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এস আই আরিফ আরো জানান, ৬/৭ জন লোক মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আটককৃতরা।

আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের গতকাল শুক্রবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

সাম্প্রতিক