অনলাইন ডেস্ক : আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে করাচিতেই নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিউজউইককে জানিয়েছেন, শুধু জাওয়াহিরিই নয় লাদেনপুত্র হামজা বিন লাদেনকেও আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা।
জাওয়াহিরির শেষ ইচ্ছা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-র টুইন টাওয়ারের মতো ভয়ঙ্কর হামলা চালানো যাতে যুক্তরাষ্ট্র আর উঠে দাঁড়াতে না পারে। ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে আল-কায়দাকে উচ্ছেদ করার পর থেকেই আইএসআই-এর আস্তানায় রয়েছে এই জঙ্গি নেতা। এই খবরও যুক্তরাষ্ট্রের অজানা নয়।
বারাক ওবামার শাসনকালের শেষ দিকে ড্রোনের সাহায্য আল-জাওয়াহিরিকে প্রায় ধরেই ফেলেছিল মার্কিন সেনা। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল আল-জাওয়াহিরি। ২০০১-এর পর থেকে এমন বেশ কিছু ড্রোন হামলা থেকে কপালের জোরে বেঁচে গিয়েছে এই জঙ্গি নেতা।
আফগান তালেবানের এক নেতা নিউজউইককে বলেছেন, আল কায়েদা নেতা এখন তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্বাগত নন কারণ বর্তমানে আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করছে। নিজেদের বৈশ্বিক শান্তির হুমকি হিসেবে প্রদর্শিত হতে দেখতে চায় না তালেবান।
তার মতে এইজন্যই জাওয়াহিরি যাকে ‘কালো পা’ বলে অভিহিত করে তালেবান, করাচিতে সরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা। বন্দর নগরী করাচিতে জাওয়াহিরি অবস্থানের সম্ভাবনাটা যৌক্তিক উল্লেখ করে পাকিস্তানি কমকর্তা বলেন, করাচিতে জঙ্গি মতাদর্শের সমর্থন রয়েছে ব্যাপকভাবে এবং শহরে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও মারাত্মক। ওই একই কর্মকর্তা বলেন, তিনি শতভাগ নিশ্চিত আল কায়েদার ‘নতুন তারকা’ লাদেনপুত্র হামজাও আইএসআই’র নিরাপত্তায় পাকিস্তানেই আছে।
বিশেষজ্ঞদের মত, এখনও বড় মাপের জঙ্গি হামলা করার ক্ষমতা রাখে আল-কায়দা। এই সত্যি সম্পর্কে অবগত ট্রাম্প প্রশাসনও। সিআইএ-র সাবেক কর্মকর্তা ব্রুস রাইডেল বলেন, ২০১৪ সালে আলকায়েদা পাকিস্তানি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ভারত মহাসাগরে মার্কিন অথবা ভারতীয় নৌবহরে হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল। তিনি নিউজউইককে বলেন, ভেবে দেখুন বিস্ফোরকভর্তি অথবা পারমাণবিক বিস্ফোরক নিয়ে পাকিস্তানি জাহাজ মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার যুদ্ধজাহাজে হামলা করল। এমন হামলা সফল হলে ইতিহাসের গতিপথই পরিবর্তন হয়ে যাবে। - টাইমস অব ইন্ডিয়া
< Prev | Next > |
---|