shuyoআন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী জমে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা এক শুঁয়োপোকাকে কাজে লাগানোর কথা বলছেন। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক প্রজাতির শুঁয়োপোকার কথা জানিয়েছেন, যা মৌচাকের মোম খেয়ে বেঁচে থাকে। এগুলো প্লাস্টিকও খেয়ে হজম করতে পারে বলে তারা জানান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ওই গবেষকদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, লার্ভাগুলো মৌচাকের মোমের মতোই প্লাস্টিকের রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে তা হজম করে নিচ্ছে। ওই শুঁয়োপোকার নাম গ্যালারিয়া মেলোনেলা। এগুলো এক ঘণ্টার মধ্যেই কোনও প্লাস্টিক ব্যাগ ফুটো করে ফেলতে পারে। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির বায়োক্যামিস্ট এবং ওই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য ড. পাওলো বোমবেলি জানান, ‘শুঁয়োপোকা দিয়ে আমরা শুরু করছি।

আমাদের বুঝতে হবে এটা কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। আশা করছি, প্লাস্টিক বর্জ্যরে সমস্যা মোকাবিলায় আমরা শিগগিরই প্রযুক্তিগত সমাধান দিতে পারবো।’ প্রাকৃতিকভাবে প্লাস্টিকের ক্ষয় প্রক্রিয়ার রাসায়নিক রহস্য উদঘাটন সম্ভব হলে তা প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাকৃতিক ক্ষয় প্রক্রিয়া তরান্বিত করার জন্য ওই গবেষকরা কাজ করছেন। গবেষকদের ধারণা, প্লাস্টিকের রাসায়নিক গঠন ভেঙে ফেলতে ওই শুঁয়োপোকা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। বোমবেলির সহকর্মী স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের ড বেরতোচিনি বলেন, ‘আমাদের সাগর, নদী, পুরো প্রকৃতিকে প্লাস্টিক বর্জ্যরে অনিবার্য পরিণতি থেকে রক্ষা করতে আমরা এ গবেষণার ফলাফল টেকসই পথে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের পরিবেশের মাঝে পলিথিন পুঁতে ফেলে যথার্থতা দাবি করতে পারি না। কারণ এখন আমরা জানি কিভাবে ওই প্লাস্টিকদের ভেঙে ফেলা যায়।’ পুরো গবেষণাপত্রটি কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পলিথিন উৎপাদন হয়। তা শপিং ব্যাগ বা খাবারের প্যাকেটে ব্যবহৃত হয়। অথচ এগুলো পুরোপুরি প্রকৃতিতে মিশে যেতে কয়েকশ’ বছর লেগে যেতে পারে।

সাম্প্রতিক