আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন সিনেটের সব সদস্যকেই হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আজ বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দফতরের ক্যাপিটাল হিলে এ আলোচনা হবে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। সিনেটের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস উপস্থিত থাকবেন। তাদের সঙ্গে জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জোসেফ ডানফোর্ডও সিনেটরদের সামনে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর কোরিয়া নিয়ে এ আলোচনার কথা জানান। হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে নিয়মিতই কংগ্রেসকে অবগত করে থাকেন। তবে পুরো সিনেটের হোয়াইট হাউসে যাওয়াটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া ওই অঞ্চলে ‘যুদ্ধাবস্থা’ সৃষ্টি করে রেখেছে।
এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিনের উপস্থিতি। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ইউএসএস মিশিগান গতকাল মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছায়। সাবমেরিনটির কার্ল ভিনসন রণতরীর সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া পরস্পর উস্কানিমূলক কর্মকা- এবং মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরিয়া উপদ্বীপে পাঠানোর ঘোষণার পর সেখানে এখন কার্যত যুদ্ধাবস্থা জারি রয়েছে। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ইউএসএস মিশিগানে ১৫৪টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, ৬০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা এবং কয়েকটি মিনি-সাবমেরিন রয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র চসুন ইলবো জানিয়েছে। মার্কিন শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইউএসএস মিশিগান কোরিয়া উপদ্বীপে সামরিক মহড়া চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, রণতরী কার্ল ভিনসন নির্দেশ অনুসারে কোরিয়ার দিকে যাত্রা করেছে। পিয়ংইয়ং কোরিয়া উপদ্বীপে যে কোনও সামরিক মহড়াকে আগ্রাসন বলে মনে করে। তারা এর প্রতিক্রিয়ায় হুমকি দিয়েছে, ‘মার্কিন আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনে রণতরী ডুবিয়ে দেওয়া হবে।’
< Prev | Next > |
---|