এ.কে.এম শামছুল হক রেনু
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য, সূত্র, জানা, শুনা এবং দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজির অনিয়ম, ভূয়া ডাক্তার এবং কোন কোন ফার্মেসীতে মেয়াদ্দোত্তীর্ণ ঔষধসহ নেপথ্যে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, নেশার ড্রাগ, প্যাথেড্রিন ইত্যাদির রমরমা বাণিজ্য চলে আসছে। ফলশ্র“তিতে প্রায় সময় এসব রমরমা অনিয়মের রোদকল্পে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ড্রাগ নিয়ন্ত্রক, বিজিবি, র্যাব, পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা হয়ে থাকে। ঔষধের পাইকারী বাজার মিটফোর্ড ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার বিজিবি, পুলিশ, র্যাব সহ ড্রাগ কন্ট্রোল প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অনেক নিষিদ্ধ ও মেয়াদ্দোত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করে থাকে। যার ফলে এসব অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা রাস্তাঘাট অবরোধ ও ধর্মঘট ডেকে থাকে। ফলশ্র“তিতে জনজীবনে যেমন চরম নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়, তেমনি মৃত্যুর পথযাত্রী মারাত্মক রোগে আক্রান্ত রোগীরা জরুরী ঔষধপত্র না পাওয়ার ফলে যার পর নাই কষ্ট ভোগ করে থাকে। এমনকি তাদের ইন্ধনে সারা দেশের ঔষধ ফার্মেসীগুলো ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টার ততোধিক সময় বন্ধ থাকার কারণে রোগীদের অবর্নণীয় দুঃখ কষ্ট পোহাতে হয়। তদোপরি অহরহ ডিগ্রীধারী ভূয়া ডাক্তার, অক্ষরজ্ঞান হাতুড়ে ডাক্তার ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও প্যাথলজি চালানোর অভিযোগ লক্ষ্য করা যায়। আজ সারা দেশে এই অবস্থা যেমনি বিদ্যমান, তেমনি এর বেড়াজালে নিপতিত হয়ে অহরহ রোগীদের ভোগান্তির মর্মান্তিক চিত্র ভেসে আসছে।
কিন্তু কোন অবস্থাতেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, ভূয়া ডাক্তার ও ফার্মেসীগুলোর এ অন্যায় কার্যক্রম, অসাধু রমরমা বাণিজ্য বন্ধ না হয়ে বরং দিনের পর দিন এই অসাধুপন্থা নদীর স্রোতের মতো সামনে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধরনের উদাহরণ ও কারসাজি এখন শুধু রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলাতেই সীমাবদ্ধ নহে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও এর বি¯তৃতি লাভ করেছে। দেশের অন্যান্য সমস্যার চেয়ে বর্তমানে এ সমস্যা ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করে আসছে। সীমাহীনভাবে এ রমরমা বাণিজ্য চলার ফলে দেশের মানুষ এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এমনকি সরকারী ঘরানার ৯টা ৫টার ডাক্তাররাও এ তিরোধান থেকে কোন মতেই সরে আসছেনা। কোনমতে হাসপাতালের হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর করে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে আসে। হাসপাতালে গিয়ে রোগীরা যথাসময়ে তাদেরকে না পেয়ে অহরহ যারপর নাই কষ্ট ভোগ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেও এর সুষ্ঠ প্রতিকার পাচ্ছেনা। বরং জানা যায়, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগের
কারণে ভোক্তভোগী রোগীরা হাসপাতাল থেকে হতাশ হয়ে ঘরমুখো হতে হচ্ছে। যে ব্যাথা বেদনা ভোক্তভোগীদের ছাড়া অন্য কারো উপলব্ধি করার কথা নয়। তাছাড়া হাটে ঘাটে বাজারে শহরের ফুটপাথে একশ্রেণীর প্রতারক সকলের চোখের নামনে মানুষকে প্রতারিত করে বিভিন্ন বাহারী নাম ও বড় বোতলে লালপানি ও সেকারিনের টনিক নামের ভিটামিন ঔষধ অহরহ ও দেদারছে বিক্রী করে চলছে। যার সীমা পরিসীমা আনলিমিটেড (unlimited)। তারপর এ সমস্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধেও নেই কোন প্রতিকার। যদিও প্রায় সময়ই ভূয়া ঔষধ কারখানা আবিষ্কারের কথাও শুনা যায়। তাছাড়াও একশ্রেণীর ডাক্তারদের চিকিৎসা পত্রে অহরহ ইউএসএ (USA), কানাডা (CANADA), ইউকে (UK), জাপান (JAPAN), জার্মানী (GERMANY) মেইড ইন লেখাসহ একেবারে নিুমানের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ার জন্য রোগীদেরকে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। যে ভিটামিন ক্যাপসুল আবার সব ফার্মেসীতে পাওয়া যায় না। তাদের সাথে যোগসাজশ রয়েছে এমন কিছু চিহ্নিত ফার্মেসীতে এ ধরনের ভিটামিন ক্যাপসুল বিক্রীর কথা জানা যায়। যদিও প্রায় সময় অনেক ডাক্তারের পরামর্শে এসব ভিটামিনের প্রতিবাদ জানিয়ে ভোক্তভোগীরা কোন প্রতিকার পায়না। এ সমস্ত ভিটামিন ক্যাপসুলের দাম দেশী নামীদামী কোম্পানীর ঔষধের চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশী হয়ে থাকে। এ দেশের সরল প্রাণ মানুষের ধারণা ঔষধের দাম যত বেশী হয়ে থাকে ততই ভালো। তাই অনেকেই দেশীয় নামীদামী কোম্পানীর ঔষধ না কিনে সে দিকেই ঝুঁকে বসে। তাছাড়া অহরহ ক্যানসার, ডায়াবেটিকসের ইনসুলিন, হার্ট ডিজিজের ঔষধ এমন কি হার্টে বসানো রিং পর্যন্ত নাকি নকল করা হয়ে থাকে। যে কারণে ভোক্তভোগী রোগীরা নাকি আরোগ্যের চেয়ে মারাত্মক ঝুঁকি বহন করে চলছে।
সূত্র তথ্য ও গণমাধ্যমের নিরিখে জানা যায় ময়মনসিংহ শহরের চরাপাড়া এলাকায় (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা) অভিযানে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। অপরিচ্ছন্ন পরীক্ষাগারে দুষিত, পঁচা রক্ত সংরক্ষণ, আমাদানী নিষিদ্ধ মেয়াদ্দোর্ত্তীণ ঔষধ রাখা, ঔষধের দোকানের লাইসেন্স না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঔষধ রাখা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ফ্রিজে না রাখা সহ বেশ কিছু মারাত্মক অনিয়ম ও অমার্জনীয় অপরাধের দায়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে ২০/১২/২০১৬ ইং মঙ্গলবার এ জরিমানা করে থাকে। তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষের লোকজন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে থাকে। র্যাবের উপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে। এ ঘটনার পর ২১/১২/২০১৬ ইং বুধবার প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ও নার্স এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট চালিয়ে যায়। বিশেষ করে ময়মনসিংহ শহরের ল্যাব এইড, পপুলার, সেফওয়ে, প্রান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রান্ত প্রাইভেট হাসপাতাল ও দুটি ফার্মেসীসহ ৬টি বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে কৃত কর্মের জন্য ৮ জন ষ্টাফকে জরিমানা অনাদায়ে ২/৩ মাস করে কারাদন্ড এবং মেডিসিন কর্ণার কর্তৃপক্ষকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানের ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেয়ার কথা জানা যায়। সূত্রে আরো জানা যায়, বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঐদিনের অভিযানে ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কে ৬ লাখ টাকা, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ লাখ টাকা সহ আরো ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা এবং মেডিসিন কর্ণারকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই অভিযান র্যাব ১৪ সহ স্বাস্থ্য অধিদফতর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। তারও আগে ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন এ অভিযান চালালে ভোক্তভোগী রোগী ও জনসাধারণ ও সুশীল সমাজের পক্ষ হতে ব্যাপক সারা পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময় অভিযান চলাকালেই এ তৎপরতা হঠাৎ থেমে গেলে মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্যের ভাটা পড়ে এবং নানা গুঞ্জন বাসা বাঁধে।
অনেকেই মনে করে থাকে অপরিকল্পিত উপায়ে পরিচালিত প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার শুধু ময়মনসিংহেই বাসা বাঁধেনি। সারা দেশেই এ অবস্থা বিদ্যমান। তাছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা, শেরপুর সহ পার্শ্ববর্তি ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও অন্যান্য জেলা উপজেলাতেও এ অবস্থা বিদ্যমান। ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে এর প্রকোপ এত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা কল্পনাতীত। এ সমস্ত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজিতে ডাক্তারের কোন বালাই নেই। নামে মাত্র ক্ষুদে নার্সরা এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। যদিও এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড দেশের খ্যাতনামা ডাক্তারের ছবিসহ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখা হয়ে থাকে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, সবকিছু যেন এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। একটু ভিতরে তলিয়ে দেখা যায়, এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে একশ্রেণীর ক্ষমতাসীনরাই বছরের পর বছর জড়িত ও মালিক বটে। সরকারের পরিবর্তন হলেও এদের পরিবর্তন হয়না। ওরা কৌশল কাটিয়ে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রাতারাতি ক্ষমতাশীল নতুন দলের লোকদেরকে শেয়ার করে একইভাবে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যায়। আরেক টু লক্ষ্য করলে দেখা যায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোণা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল থেকে মুক্তাগাছা, মধুপুর,
ময়মনসিংহ এবং ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে শত শত প্যাথলজি, ডায়গনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল চোখে পড়ে। সেগুলোর রমরমা সাইন বোর্ডের সীমাবদ্ধতা বাদে তেমন কিছু নেই বলে জানা যায়। নিরিক্ষণ করলে দেখা যাবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে র্যাব অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষের ধন্যবাদ পেয়েও যেমনিভাবে রাস্তা অবরোধ ও ধর্মঘটের মধ্যে পড়েছে, তেমনি উল্লেখিত এলাকায় এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান আরো নাজুক ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব লারে লাপ্পা প্রতিষ্ঠান হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
এ সমস্ত লারে লাপ্পা প্রতিষ্ঠানকে যথাবিহীত বন্ধ করে দেয়াকে অনেকেই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করে থাকে। তাছাড়া সরকারী হাসপাতালের যে সমস্ত ডাক্তারগণ বছরের পর বছর একই জায়গায় থেকে বদলী না হয়ে চাকুরীর সুবাদে লারে লাপ্পা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে মদদ ও ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে তাদের ফিরিস্থি সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা এসবের আশু প্রতিকার বলে অনেকেরই ভাবনা। র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ অভিযান চালালে যে সমস্ত সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে রাস্তাঘাট অবরোধ করেছে, ধর্মঘট ডেকেছে, এ ধরণের সিন্ডিকেট সারাদেশেই বিদ্যমান। অনেকেই মনে করে যদি কোন কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে আপোষ করে থাকে, তবে পরবর্তী সময় এমন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতির মাত্রা যেমনি বহুগুণে বেড়ে যাবে, তেমনি তাদের মাতব্বরী ও তোকাব্বরী বেড়ে গিয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন চরম ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত হতে পারে। শুধু তাহাই নহে, যে কারণে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সমঝোতার পরের দিন থেকেই ভোক্তভোগীদের উপর ফির পরিমাণ যেমন চার পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে, তেমনি এমন ধরনের লারে লাপ্পা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্রাত্রিরিক্ত বেড়ে যাবে। এসব দিকে লক্ষ্য রেখে সারা দেশে র্যাব-১৪ এর মতো অভিযান চালালে, তথাকথিত প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসীর মেয়াদ্দোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রী বন্ধ সহ প্রাইভেট হাসপাতালের গলাকাটা ব্যবসার সাথে অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এর প্রতিকারে জনসচেতনতা, জেলা ও উপজেলা সরকারী প্রশাসনের সকলকে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে আসলে এসব কেলেংকারী ও চিকিৎসার নামে অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য কমে যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করে থাকে। ওয়ান ইলেভেনের সময় এ ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অনেকেই লাপাত্তা হয়ে গেলে এ সমস্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ছাড়পোকা, বাদুর, ইঁদুর, বিড়াল যেমন বাসা বাঁধে, তেমনি রাত্রি নামার সাথে সাথে এ সমস্ত অরক্ষিত প্রতিষ্ঠানে শৃগাল, কুকুর এসে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। তারপর ওয়ান ইলেভেনের পর তাদের রমরমা ব্যবসা পুনরায় চালু হয়ে যায়। মানুষ নামের অমানুষদের চিকিৎসার নামে টাকা কামানোর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিকার, প্রতিরোধ, আইনানুগ ব্যবস্থা ও এ্যাকশনই (Action) জন প্রত্যাশা।
বলা চলে বছর খানেক আগে থাইল্যান্ড ভ্রমন করতে গিয়ে হঠাৎ গ্যাসটিক ব্যথায় আক্রান্ত হলে রেজিষ্টার ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র ছাড়া কোন ফার্মেসী থেকে এ দেশের মতো ঔষধ কিনতে না পেরে পরিশেষে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়েই গ্যাসট্রিকের ঔষধ কিনতে হয়েছিল। শুধু অভিযান নয় চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মুলোৎপাটনই জনমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অকৃত্রিম সহায়ক।
লেখক কলামিষ্ট
< Prev | Next > |
---|