স্টাফ রিপোর্টার: উপবৃত্তি বিতরণে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ‘বর্ণমালা’ প্যাকেজের ২ লাখ ২৩ হাজার সিম বিনামূল্যে বিতরণ করবে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
সচিবালয়ে গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমাধ্যমিকউপবৃত্তি প্রকল্প ও টেলিটকের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শ্যামা প্রসাদ বেপারী ও টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. গোলাম কুদ্দুস সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামা প্রসাদ জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ২ লাখ সিম পৌঁছে দেওয়া হবে যা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাইয়ের পর চালু হবে, ওই সিমে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
মাসে প্রতিটি সিমে ১০০ মিনিট ফ্রি টকটাইম এবং ৩০০ মেগাবাইট ফ্রি ইন্টারনেট ডেটা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ ছাত্রী এবং ১০ শতাংশ ছাত্রকে সরকার উপবৃত্তি দিচ্ছে, যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলবে।
“(প্রকল্পের মেয়াদ শেষে) এটা আমরা বন্ধ করতে পারব না, অন্যভাবে হয়তো এটাকে সম্প্রসারিত করতে হবে ও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পে ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “সবটাই সরকারি ব্যয়, কোনো বিদেশি ঋণ বা সহযোগিতা এরমধ্যে নেই।” পিতা-মাতার জমি ও আয়ের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া উপবৃত্তি পেতে ক্লাসে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি ও কলেজে পড়ার সময় বিয়ে না করার শর্ত দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এ অর্থ শুধু শিক্ষা জীবনই অব্যাহত রাখছে না, সামাজিক জীবনেও প্রভাবে ফেলছে। এর ফলাফলও আমরা পেয়েছি।”
২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উচ্চ মাধ্যমিকের ১০ লাখ ২১ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, এবার কলেজে পড়ুয়া ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ‘মায়ের হাসি’ প্যাকেজের ১০ লাখ টেলিটক সিম বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় উচ্চ মাধ্যমিকের উপবৃত্তির জন্য ২ লাখ ২৩ হাজার সিম বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করা হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হবে মন্তব্য করে তারানা বলেন, “আমরা চাই প্রান্তিক পর্যায়ের একটি টাকাও যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে না যায়।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও টেলিটক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
< Prev | Next > |
---|