dthgddsf1স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের জন্য সরকার ও জাতিসংঘের চলমান মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদারে ২০ লাখ ডলারের জরুরি সহায়তা দিচ্ছে জাপান। তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মনোসামাজিক সহায়তা, আশ্রয়, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবাসহ নিশ্চিত করাসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করবে। জাপান দূতাবাস, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এই ২০ লাখ ডলারের মধ্যে আইওএম ১০ লাখ ডলার, ইউএনএইচসিআর ৫ লাখ ডলার ও ইউনিসেফ ৫ লাখ ডলারের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর ৭৪ হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার জেলায় এসেছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ অভিভাবকহীন নাবালক।

এর মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় কমিউনিটিতে অবস্থানরত মানুষগুলোর, বিশেষ করে শিশুদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও তাদের স্বাভাবিক জীবন ফেরাতে কাজ করবে ইউনিসেফ। জাপান সরকারের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার বলেন, এই সহায়তা সব শিশুর জন্য শিক্ষা ও সুরক্ষা সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে আমাদের সহায়তা করবে। ইউএনএইচসিআরের আওতায় থাকবে কুতুপালং ও নয়াড়ায় নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলো। সেখানকার দুই হাজার ৬০০ পরিবারকে আগামি বর্ষা মৌসুমে টিকে থাকতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করবে জাতিসংঘের এই সংস্থা। এই সহায়তা ইউএনএইচসিআরের জীবন-রক্ষার চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিনজি কুবো।

কক্সবাজারের স্থানীয় গ্রামগুলোর অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আগে থেকেই অবস্থানরতদের পাশাপাশি নতুন করে আসাসহ ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের জরুরি প্রয়োজন নিশ্চিতে কাজ করবে আইওএম। আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান সরত দাশ বলেন, নারী ও শিশুদের মনোসামাজিক সহায়তার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রেখে এই এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এই তহবিল আইওএমকে সহায়তা করবে। মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সব সংস্থার মধ্যে জোরালো সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ নজর থাকবে বলে যৌথ এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক