ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয়ভাবে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করার জন্য যে দাবি ওঠেছে তা বাস্তবায়নে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। জয়বাংলাকে জাতীয় শ্লোগান করার জন্য সরকার বিবেচনা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যম আগামী দিনেও বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ (শনিবার) দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনঅ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সহায়তায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, জয়দেবপুরের ঊনিশে মার্চ প্রতিরোধ যুদ্ধের নেতা আবদুস সাত্তার মিয়া, কথা সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি সাংবাদিক ইঊসুফ শরীফ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ. করিম।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঊনিশে মার্চ প্রথম সশ¯্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক আতাউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি আরো বলেন, ঊনিশে মার্চ প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করার আগে আমরা ২ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা করে একটি সভা করেছিলাম। ঐতিহাসিক সাতই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তির আন্দোলনে যখন উত্তাল তখনই প্রথম পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলা হয়। এ ঘটনার পর সারাদেশে শ্লোগান ওঠে ‘জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।” এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। এই দিবসটিকে জাতীয়ভাবে উদযাপন করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি ওই সময়ে শহীদ হরমুত, নিয়ামত ও মনু খলিফাসহ আরো যারা হতাহত হন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ২ লক্ষাধিক মা-বোন সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের জন্য আমরা সকলেই গর্বিত। তাঁদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং অসাধারণ অবদান রেখে চলছেন।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব দ্বিতীয় ইষ্ট রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করতে গাজীপুরে গেলে জনগণ সড়কে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
আমরা নেতা হিসেবে যা কিছু করেছি তা বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা করেই করেছিলাম। এতে জেনারেল শফিউল্লাহসহ সকল বাঙ্গালী সৈন্যদেরও অবদান ছিল বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
< Prev | Next > |
---|