মোমিন মেহেদী
motamotঅনুতাপে প্রজাপ্রতি পুড়ে যায় রোজ
তাপিতরা দল বাঁধে দিনের আলোয়
অবারিত আলো এসে ভালোবেসে
ভীড় করে রঙিন নেশায়...
এমনই এক নেশা আর অনুতাপের রাস্তায় অনবরত অগ্রসর হচ্ছে ছাত্র শিবির-জামাত-জঙ্গী আর পীর-মুরিদের খেলায় আশক্ত চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, শায়খ রহমান, বাংলা ভাইয়ের সাঙ্গপঙ্গরা। যার সূত্র ধরে রাতে আর দিনে নির্মমতায় বারবার ঘটছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। যার সূত্রতায় আশকোনায় হামলার ২৪ ঘণ্টা না গড়াতেই রাজধানীর খিলগাঁওয়ে র‌্যাবের তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হয়েছে একজন, যাকে আত্মঘাতী জঙ্গি বলে ধারণা করছে প্রশাসন। ‘শেখের জায়গা’ মোড়ের কাছে তল্লাশি চৌকিতে হামলার চেষ্টাকারী নিহত হয়েছে বলে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। হামলাকারীর দেহে বিস্ফোরক বাঁধা ছিল বলেও র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। অথচ এই ঘটনার মাত্র একদিন আগে আশকোনায় হামলাকারীর দেহেও বিস্ফোরক বাঁধা ছিল বলে তাকেও আত্মঘাতী জঙ্গি বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। র‌্যাব কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে মোটর সাইকেল আরোহী ওই ব্যক্তি খিলগাঁওয়ের চেক পোস্টে ঢুকে পড়লে বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালায়। এই ঘটনায় দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন বলেও বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিহত যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। হামলাকারী গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রথমে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। পরে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন র‌্যাব কর্মকর্তা তুহিন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম ইউনিটের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুস সালাম বলেছেন, তারা নিহত যুবকের শরীরে ছয় থেকে সাতটি গুলির চিহ্ন দেখেছেন। লাশ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জায়গা থেকেও নমুনা নেয়া হয়েছে। পুলিশকে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিতে সিআইডি সহায়তা করছে। এটা র‌্যাবের নিয়মিত তল্লাশি চৌকি কিনা, তা জানতে চাইলে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, নির্জন জায়গা হওয়ায় এখানে অসাধু লোকজন যাতায়াত করে। এ কারণে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়। হামলাকারী কোথা থেকে আসছিলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা জানা যায়নি। র‌্যাবের তল্লাশি চৌকিটি শেখের জায়গা ও নন্দীপাড়ার সংযোগ সড়কে। আশপাশে ধানক্ষেত ও খালি জায়গা। তেমন জনবসতি নেই। কিছুটা দূরে জনবসতি আছে। সে সময় দূর থেকে ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তার মাথার কাছে একটি ব্যাগ ও লাল রঙের মোটরসাইকেল পড়েছিল। পরনে শার্ট ও জিনসের প্যান্ট ছিল।

আমরা একটু খেয়াল করলে দেখবো যে, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর জুমার নামাজের আগে ঢাকার আশকোনায় হজ ক্যাম্পের কাছে যে জায়গায় র‌্যাবের নতুন সদর দপ্তরের নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে র‌্যাবের ব্যারাকের সীমানায় ঢুকে পড়ার পর শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন সন্দেহভাজন এক জঙ্গি। গত বছর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর র‌্যাব-পুলিশের টানা অভিযানে জঙ্গিদের প্রকাশ্য তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়লেও সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে প্রিজন ভ্যানে বোমাহামলা হয়েছিল। এরপর কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছিল সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি। ওই দুজনের দেয়া তথ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি জঙ্গি আস্তানায় গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর সীতাকুন্ডে দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে চারজন নিহত হন, তাদের অন্তত দুজন আত্মঘাতী হন বলে পুলিশ জানায়। এছাড়া গ্রেপ্তার হন এক দম্পতি। অন্যদিকে আশকোনায় 'আত্মঘাতী হামলা'র খবর আইএসের মুখপত্র আমাক-এ এসেছে বলে খবর দিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। তবে হামলায় আইএসের সম্পৃক্ততার খবর বরাবররের মতোই নাকচ করেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এখন কথা হলো- জঙ্গী জঙ্গী খেলায় আর কতদিন নির্মমতার রাজত্ব তৈরি হবে বাংলাদেশে? আর কতদিন ‘ধারনা’র অংক কষে কষে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের রাতদিনকে কষ্টের কালো মেঘে আচ্ছন্ন করার চেষ্টা চলবে? লক্ষ লক্ষ পুলিশ-র‌্যাব আর বিজিবির জনবল থাকতে কিভাবে বাংলাদেশের এই সকল অঞ্চলে জঙ্গীরা ঢঙ্গী হয়ে ওঠে। না কি সরিষার ভেতরেই ভূতের বসবাস চলছে? হাজার রকম কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। কেননা, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা বিভ্রান্ত হচ্ছে- স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের ব্যাপারে আশানুরুপ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে, প্রশাসক না বসিয়ে যখন দখলে নেয়ার চেষ্টা চলছে; তারা বিভ্রান্ত হচ্ছে তখনও যখন জামাতড়-শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে বলা হচ্ছে ‘এদেরকে তো নিষিদ্ধ করাটা প্রক্রিয়াধীন আছে’; যখন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা দাবী করছে ছাত্র শিবির-জামাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হোক, তখন দিব্যি তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের লেখকদের লেখাসহ নিয়মিত ‘কিশোর কন্ঠ’ ‘ছাত্র সংবাদ’ ‘কিশোর বন্ধু’সহ জঙ্গী মদদদানকারী শতাধিক কাগজ-পত্রিকা বেরুচ্ছে। এই পরিস্থিতির উত্তরণে নিবেদিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে পদক্ষেপ না নিলে লোভাতুর মন্ত্রী-এমপি আর আমলারা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে শক্তিশালী করেই যাবে; যা আমাদের কাম্য নয়; কাম্য নয় আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপ্রধান অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ থেকে শুরু করে দেশের কারোই। আর তাই চাই পদক্ষেপ নেয়া হোক, জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়া হোক জঙ্গীর উপরে-নিচে-ডানে-বামে- ভেতরে বাইরে যারা আছে, তাদের সবাইকে নির্মূল করার জন্য।

এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের কর্নেলহাট, মিরেরসরাই ও সর্বশেষ সীতাকুন্ডে শক্তিশালী জঙ্গি ঘাঁটি উদঘাটনের পর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রাজধানীর আশকোনা র‌্যাব ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা এবং এর মাত্র ১৫ ঘণ্টার মাথায় খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গায় র‌্যাবের তল্লাশি চৌকিতে হানা দেয়ার চেষ্টার পর যেভাবে ভয়াবহ পদক্ষেপ নিয়েছিলো র‌্যাব, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের সকল জেলা উপজেলায় অবিরত অভিযান চালিয়ে ছাত্র শিবির-জামাতের যত নেতাকর্মী রয়েছে, সকলকে গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে নির্মূল করতে হবে।

আমরা কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানতে পেরেছি যে, সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলের একটি দায়িত্বশীল অংশ মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির লক্ষ্য নিয়ে এবার জঙ্গিরা মাঠে নেমেছে বলে সরকারের কাছে তথ্য রয়েছে। তাই জনগণের জানমালের পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের সতর্কতাবস্থার পরও জঙ্গি হানার শঙ্কায় দেশের মানুষ তটস্থ হয়ে পড়েছে। জঙ্গিরা ফের কখন ভয়ঙ্কর হামলা চালায়, কোথায় ফের জঙ্গি ঘাঁটির সন্ধান মেলে- এ উদ্বিগ্নতায় জেঁকে বসেছে। পাশাপাশি জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

তবে বিনয়ের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যেশ্যে বলবো যে, জনগনের জন্য নিবেদিত সরকার থাকা স্বত্বেও গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর র‌্যাব-পুলিশের তৎপরতার মুখে জঙ্গিরা কিছুটা নিষ্ক্রিয় হলে তাতেই সবাই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করে। আর তাতেই সরকারের মধ্যে থাকা একাংশের নীতিনির্ধারকরা এ সময় ভূয়সী প্রসংশায় মেতে ওঠেন। জঙ্গি ইস্যুতে চলে নানা ধরনের রাজনীতি। এতে জঙ্গি দমন অভিযানে আকস্মিক ভাটা পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গিরা ফের সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের হামলা চালানোর সুযোগ করতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে জঙ্গিদের ঘাপটি মেরে থাকা এবং সময় সুযোগ বুঝে কিছুদিন পরপর সক্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টি শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, অর্থনৈতিকভাবে চরম হুমকির। কেননা জঙ্গি অধ্যুষিত কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে উন্নত কোনো দেশ স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্ক রাখতে চাইবে না। যা সামগ্রিক অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছি প্রতিনিয়ত। তার সাথে সাথে ধারনা করছি যে, জঙ্গী মদদে এখনো ইসলামী ব্যাংকের একটি অংশ সম্পৃক্ত রয়েছে। যে অংশটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে বিমানে নাটবল্টু ঢিলে করার মত জঘণ্য কাজের সাথে যুক্ত। তারাই আবার ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় শ্লোগান, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ কে রাষ্ট্রিয় প্রকাশ করেন তারা।

ভাবনার মত গভীর বিষয় হলো- দেশে সংঘটিত প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি ভীষণভাবে উদ্বেগজনক। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক না কেন, প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর কেন আইএসের সম্পৃক্ততার দাবি উঠছে, সরকারের তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা উচিত। এটি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র; সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে- এ ধরনের ঢালাও বক্তব্য দিয়ে জঙ্গি ইস্যুতে সরকারের পাশ কাটানোর চেষ্টার পরিণামও ভালো নয়। হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও মাস না ঘুরতেই তা ঝিমিয়ে পড়ে। এমনকি ডিপোমেটিক জোন গুলশান-বারিধারার নিরাপত্তা স্তর আগের মতো ঢিলেঢালা পর্যায়ে নেমে আসায়ও এই হামলার সুযোগ গড়ে উঠেছে বলে আমি মনে করি। একই সাথে এই বর্তমানের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে আমার মত নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি চুপ করে বসে থাকতে পারি না; যে কারনে বিভিন্নভাবে বিএনপি প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি জামাত-শিবিরকে বাদ দিয়ে এগিয়ে চলার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে; অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি, যাতে করে জামাত-শিবির-জঙ্গী-পীর-মুরিদের ব্যবসা আর ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে জিইয়ে না রাখে। কিন্তু তার সম্পূর্ণ বিপরিতে চলে যাচ্ছে হাওয়া। একদিকে জামাত-শিবির গিলে খাচ্ছে বিএনপি প্রধানসহ প্রায় সকলকেই; আর আওয়ামী লীগকে কলঙ্কের কালি লেপনে নিবেদিত আছে ছাত্র শিবির-জামাত-পীর-মুরিদ-ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচালিত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সুযোগে গড়ে উঠছে জঙ্গী-আইএস আর রাজনৈতিক কালো মানুষেরা।

এই পরিস্থিতির উত্তরণ প্রয়োজন। সারা রাত চর্বিত চর্বনে নিবেদিত থাকা টক বা মিষ্টি শো আমাদের প্রয়োজন নেই; প্রয়োজন নেই তথাকথিত র‌্যাব। প্রয়োজন সমাধান। যে সমাধান নিয়ে আসতে পারে ‘ ফোর্স অব বঙ্গবন্ধু’। জাতির জনকের আদর্শে-সাহসে সৃষ্ট বাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাক শেখ হাসিনার সরকার সত্যিকারের জঙ্গী-জামাত-শিবির নিধনের সর্বোচ্চ চেষ্টায়...

মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি

সাম্প্রতিক