আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : পুলিশের গুলিতে ভারতে ঋণ মওকুফ এবং পণ্যের মূল্য বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পাঁচ জন কৃষক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে এ ঘটনা ঘটে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিংয়ের দাবি মান্দসৌরের এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত নয়। খবর এনডিটিভির।
মন্ত্রী বলেন, সেখানে পুলিশ গুলি চালায়নি। ‘সমাজবিরোধীরা’ কৃষকদের উপর গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে উজ্জাইন বিভাগীয় কমিশনার ওম ঝা বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই দুই কৃষকের মৃত্যু হয়, কয়েকজন আহত হন।
বিক্ষোভের সময় কৃষকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে। তারা কয়েকবার রেল রাস্তা উপড়ে ফেলারও চেষ্টা করেছে।
উৎপাদিত পণ্যের উচ্চ মূল্যের পাশপাশি ঋণ মওকুফের দাবিতে গত ১ জুন থেকে ১০ দিনের ধর্মঘট শুরু করেন মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্নস্থানে পুলিশের সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া যানবাহনে আগুন দেয়া, দোকানপাঠ ভাংচুর ও লুটপাটের খবরও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার থেকে কৃষকরা পণ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেন। এর ফলে মুম্বাই ও পুনের মত শহরগুলোতে সবজি ও দুধের দাম ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
তবে কৃষকদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বিরোধীদলগুলোর উসকানি বলে মন্তব্য করেছেন। তার দাবি, সরকার কৃষকদের পাশে আছে। মঙ্গলবার রাতেই তিনি মান্দসৌর ঘটনায় হতাহতদের জন্য তিনি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। তিনি নিহতদের জন্য ১০ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি এবং সরকারি চাকরি; আহতদের জন্য পাঁচ লাখ রুপি দেয়ার কথা জানান।
এদিকে গুলিতে কৃষক নিহতের ঘটনায় প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইটে বলেছেন, ‘এই সরকার কৃষকদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।’
কৃষকদের ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর ইন্দোর, উজ্জাইন, দেওয়াজসহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
< Prev | Next > |
---|