b20আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার শায়রাত বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির বিমান শক্তির ২০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান শেইখৌন শহরে সরকারি বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে সন্দেহে বৃহস্পতিবার হমস প্রদেশের ওই বিমান ঘাঁটিটিতে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে রাসায়নিক হামলা চালানো কথা অস্বীকার করেছে সিরিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, “সিরিয়াকে আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কুপরামর্শ দেওয়া হতে পারে। ইতালিতে জি৭ দেশগুলোর বৈঠকে ম্যাটিস একথা বলেছেন। দুই দিনের ওই বৈঠকে মিত্র সিরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়াকে সরিয়ে আনতে রাজি করানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করছেন দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এখানে ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সিরীয় বিমান ঘাঁটিটির জ¦ালানি ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার স্থানগুলো, বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং অভিযান চালাতে সক্ষম সিরীয় জঙ্গি বিমানগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সিরীয় সরকার শায়রাত বিমানক্ষেত্রে জঙ্গি বিমানে জ¦ালানি ভরার ও নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত করার সামর্থ্য হারিয়েছে, তাই বিমান ক্ষেত্রটির রানওয়ে সামরিক স্বার্থ বিবেচনায় অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এই হামলা দেখিয়েছে (সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ) রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে নিরপরাধ লোকজনকে খুন করলে যুক্তরাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে না। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, আরো হামলা চালানোর পরিকল্পনা তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষিপ্ত ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ২৩টি শায়রাতে পৌঁছতে পেরেছে এবং এতে সিরীয় বিমান বাহিনীর ছয়টি মিগ-২৩ জঙ্গি বিমান ও অনেকগুলো ভবন ধ্বংস হয়েছে।

সাম্প্রতিক