স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মাসের ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা উল্লেখ করে রাজধানীর যানজট হ্রাস ও ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে সেনাবাহিনীকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুর রহমান সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সহ সভাপতি হাজী শহীদ, যুগ্মসম্পাদক সেকান্দার হায়াত, অর্থ সম্পাদক পুষ্পেন রায় ও প্রচার সম্পাদক জসি শিকদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীতে বিআরটিএ পরিচালিত অভিযানে এক শ্রেণীর বাস মালিক ও শ্রমিকদের দৌরাত্ম্য আর তীব্র পরিবহন সংকটে যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুভোগ-দুর্দশার চিত্র দেশের গণমাধ্যমে শীর্ষ সংবাদ হয়েছে। অথচ শক্তহাতে ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করে পূর্বঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী এই অভিযান স্থগিতের মধ্যদিয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অন্যায্য দাবির কাছে সরকার নিলজ্জ্ব আত্মসমর্পণ করেছে।
সরকারের পিছুটানের এ ঘটনায় অরাজকতার চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো- রাজধানীর যানজট হ্রাস ও ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে সেনাবাহিনীকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া, চাঁদাবাজির হাত থেকে সাধারণ পরিবহন মালিকদের রক্ষায় রাজধানীর বাস টার্মিনালে সেনা সদস্য মোতায়েন, সাংবিধানিক কিংবা সরকারের শীর্ষপদে অধিষ্ঠিতদের মালিক বা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে না থাকার আইন প্রণয়ন, বিআরটিসি বাস বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার প্রথা বাতিল, বিআরটিসির বহরে আরও বাস যুক্ত করা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্যাক্সিক্যাব আমদানির ব্যবস্থা, সিএনজি অটোরিক্সা মিটারে চলাচলে বাধ্যকরণ, রাজধানীর চারপাশে নৌপথ সচলকরণ, পরিবহন কর্মীদের লাইসেন্স ও নিয়োগপত্র প্রদান, টাউন সার্ভিসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া, মহানগীরতে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সার্ভিস চালু করা।
এছাড়াও বিআরটিএ’র অভিযান সারা বছর পরিচালনা করা, দুর্ঘটনা কমাতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক হেলপারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইন প্রণয়নেরও সুপারিশ করা হয়।
< Prev | Next > |
---|