mushfiq cryingস্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের হয়ে মুশফিকুর রহিম ক্রিকেট খেলছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কখনও কখনও খারাপ সময় এসেছে তার ক্যারিয়ারে। অনেক সময় তাকে বিশ্রামের আড়ালে বাদও দেয়া হয়েছে দল থেকে। ওই সময় কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি তাকে। কিন্তু কখনোই এসব অভিযোগের বিপরীতে চোখের পানি ফেলতে দেখা যায়নি জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ককে।

কিন্তু এবারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজি বরিশাল বুলসের কর্ণধার এমএ আবদুল আউয়াল চৌধুরী বুলু যা বলেছেন মুশফিককে, তাতে তিনি চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেননি। কথা শেষ করতে না পেরে ওঠে পড়েন সংবাদ সম্মেলন থেকে।

ঘটনা শুরু গতকাল। একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বরিশাল বুলসের অন্যতম এই মালিক বলেন, ‘আমরা মুশফিকের প্রতি আগ্রহী নই। তিনি কিছুটা এলোমেলো। এছাড়া গত মৌসুমে তিনি আমাদেও টিম নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। আমরা তার ব্যাপারে বোর্ডের কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। তার আগের বছর তিনি সিলেট রয়্যালসের সঙ্গেও একই ধরণের কাজ করেছিলেন। তার কাছ থেকে এটা আমরা আশা করি না। '
তিনি মুশফিকের চরিত্র এবং অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এমনকি দলের ভেতরে গ্রুপিং করারও অভিযোগও তুলেন এমএ আবদুল আউয়াল চৌধুরী বুলু।

তার এ বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুশফিক। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মুশফিক।

এসময় আবেগতাড়িত হয়ে তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে আমি জাতীয় দলে খেলছি। আমার সম্পর্কে এমন অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি। তিনি আমাকে খারাপ খেলোয়াড় বলতে পারেন, কিন্তু আমাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতে পারেন না। আমি আশা করবো, মল্লিক ভাইয়েরা বিষয়টা দেখবেন। আমি তাদেরকে জানিয়েছি। আজ আমার সঙ্গে হয়েছে, সামনে যে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে হবে না, তার নিশ্চয়তা কী? এইটুকু সম্মান তো একজন খেলোয়াড় পেতেই পারেন।'

এইটুকু বলতেই মুশফিকের গলা ধরে আসে এবং চোখ ছলছল করে ওঠে। তারপরই দ্রুত সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) গত আসরে ১২ ম্যাচে ৩৭.৮৮ গড়ে ৩৪১ রান করেন বরিশাল বুলসের অধিনায়ক ও আইকন খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার উপরে।

মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দীন চৌধুরী সুজন।
বরিশাল বুলসের মালিকের ওই বক্তব্যে মুশফিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত। আমরা আবদুল আউয়ালকে তলব করেছি। তার সঙ্গে বসবো। তার কথা শুনবো এবং বক্তব্য শুনে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

সাম্প্রতিক