স্পোর্টস ডেস্ক : এখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ট্রফি থাকছে এশিয়াতেই। এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান এর মধ্যে যে কোনো দেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘরে তুলত পারে।
আজ ই্ংল্যান্ডের মাটিতে তাদের শিরোপার স্বপ্ন ভুলণ্ঠিত করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করল পাকিস্তান। ইংলিশদের দেওয়া ২১২ রানের টার্গেটে ৭৭ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় সরফরাজ খানের দল। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা রেখে দিতে চেয়েছিল মরগ্যানরা। সেটা আর হলো না। ইংলিশ কন্ডিশন যেখানে উপমহাদেশের জন্য আতঙ্ক হওয়ার কথা; সেখানে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মত দল পাত্তাই পেল না!
২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১৮ রানের জুটি গড়েন ফখর আজম এবং আজহার আলী। ৫৮ বলে ৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আদিল রশিদের শিকার হন ফখর। তবে এতে কোনো ক্ষতি হয়নি সরফরাজদের। এরপর আজহার আলীও ৭৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান। ততক্ষণে ১৭৩ রান করা পাকিস্তান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। দ্বিতীয় উইকেটেও ৫৫ রানের জুটি হয়। এরপর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজ (৩৮) এবং বাবর আজমের (১৩) অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটিতে ৩৭.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিরা।
আজ টস ভাগ্যটাও সহায় ছিল না মরগ্যানদের। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বার সম্ভবত ভাবেননি সরফরাজ আহমেদ। ফলাফলটা পেয়েছেন হাতেনাতে। বোলারদের দাপটে ইংলিশদের অবস্থা করুণ। ১৬২ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই এবারের টুর্নামেন্টের হট ফেবারিটদের! ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ আমিরের পরিবর্তনে দলে আসা রুমান রইসের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে কাভারে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেক্স হেলস (১৩)। অবশ্য এর আগে একবার এলবিডাব্লিউ হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ছোট ছোট কিছু জুটি হয়েছে। কিন্তু কোনো জুটিই পঞ্চাশ স্পর্শ করতে পারেনি। দলীয় ৮০ রানে একদশে ফেরা জনি বেয়ারস্টো ওপেন করতে নেমে ৫৭ বলে ৪৩ রান করে হাসান আলীর শিকার হন। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়ার পর জো রুটকে (৪৬) ফিরিয়ে ইংলিশদের বিপদ বাড়িয়ে দেন শাদাব খান। অধিনায়ক এউইন মরগ্যান চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৩ রানেই হাসান আলীর বলে সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দী হন তিনি। জস বাটলার (৪) এবং মঈন আলীও (১১) কিছু করে দেখাতে পারেননি। দুজনেই শিকার হয়েছেন জুনায়দে খানের। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২১১ রান তুলতেই অলাউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। হাসান আলী ৩টি, জুনায়েদ-রুমান ২টি করে উইকেট নেন।
< Prev | Next > |
---|