suny-nasrinঢাকা : জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানী এবং তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করে সানীর স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি প্রেরণ করেন। এরপর আদালত আজ বৃহস্পতিবারের (২ মার্চ) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এরপর গত বছরের ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। ওই মামলায় সানী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি তার মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

মামলাটিতে আরাফাত সানীর জামিন শুনানির জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সানীর জামিনের আবেদন করা হলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন শুনানির জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানীর মা নার্গিস আক্তার আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, নাসরিন সুলতানা গত ৫ জানুয়ারি সানীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন তার এক দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ জানুয়ারি রিমান্ড শেষে সানীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে সানী কারাগারেই আছেন।

সাম্প্রতিক