asduufh1মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি আত্মপ্রকাশ করেছিলো ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শত শত তারুণকে ঐক্যবদ্ধ করে। রেডর‌্যালীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশকারী রাজনৈতিকধারা নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র রাজনৈতিক কর্মকান্ডর সূত্র ধরে ৩৮ জেলা, ৯৭ উপজেলা, ৮ বিভাগসহ ১৫৭ শাখায় কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাদের রাজনৈতিক প্রস্তুতি চলছে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে। আর বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া নতুনধারার রাজনীতির কথা বলছেন ২০১৪ সাল থেকে। সর্বশেষ গত ৬ মে তিনি নতুনধারার সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে প্রমাণ করলেন যে, ‘জনগন-ই সকল ক্ষমতার উৎস’ বলার মধ্য দিয়ে আল্লাহর শক্তিকে অস্বীকার করার মত করে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শিক দল বিএনপির রাজনীতিকে অস্বীকার করে নতুনধারার রাজনীতির কথা, নতুনধারার সরকারের কথা তুলে আনছেন বারবার। তবু বিএনপির রাজনীতি এগিয়ে চলছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।

যেমন প্রস্তুতি চলছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-শ্রমিকলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পাশাপাশি স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রধান শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মুখ দেখে নয় জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন নিয়ে সংশয়ে-অন্ধকারের রাস্তায় অগ্রসর হচ্ছে বর্তমান সংসদে থাকা কালোর বাসিন্দাদের অধিকাংশই। অন্যদিকে কাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে দলের সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে পেরেছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন। জনবিচ্ছিন্ন কাউকেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না। গত নির্বাচনে অনেককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করে আনলেও এবার কারও দায়িত্ব নিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন যে, জনগনের রাজনীতি থেকে দূরুত্ব তৈরি করে রাজনীতিতে এগিয়ে চলা লোভাতুর রাজনীতির ধারকগণ সত্যিকার্থেই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

জাতীয় সংসদ ভবনের নবম তলায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে কিংবা নির্বাচনকে সহজভাবে নিলে চলবে না। আগামী নির্বাচন কঠিন হবে। সরকারের সব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সারা গ্রাম-বাংলায় তুলে ধরে জনগণের মন জয় করুন। মনে রাখবেন, সবার কর্মকান্ডের রিপোর্ট আমার কাছে রয়েছে। আমি প্রতি ৬ মাস পর জরিপ করাচ্ছি। যারা এলাকায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন, তারা মনোনয়ন পাবেন না। এখনও সময় আছে, নির্বাচনী এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা বাড়ান, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় বন্ধন গড়ে তুলুন। আগামী নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের গত আট বছরের ব্যাপক সাফল্যগুলো তুলে ধরুন। মনে রাখবেন, দিন শেষে কিন্তু জনগণের কাছেই যেতে হবে। সরকারের জনকল্যাণমূখী কাজগুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরুন। পাশাপাশি কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। দলের মধ্যে কোন্দল-দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দলের মধ্যে কোনো বিভেদ-অনৈক্য বরদাস্ত করা হবে না। সারা দেশের তিনশ’ আসনের জরিপ রিপোর্ট ও প্রকৃত চিত্র আমার কাছে আছে। আরও জরিপ চালাব। নির্বাচনী এলাকায় কার কী অবস্থা, জনসমর্থন কার কেমন, আর কারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন- সব রিপোর্ট আমার কাছে রয়েছে। তাই সবাই সাবধান হয়ে যান, নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করুন। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কাউকেই ক্ষমা করা হবে না। তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কথাগুলো কিন্তু জানিয়ে দিয়েছেন যে, জনগনকে সোচ্চার থাকতে হবে, নির্বাচন আসন্ন। তিনি কি তাহলে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছেন? প্রশ্নটা অমূলক নয়। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় দলের সভায় স্বতন্ত্র ১১ সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠকে অংশ নেন। আর সেই আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশ্যেও তিনি একই রকম ইঙ্গিত ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, এখন থেকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন। দলের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করলে কিন্তু আপনারা আগামীতেও মনোনয়ন পাবেন না। যার যার এলাকায় নেতার্কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে, তা দ্রুত সমাধান করে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামুন। এ সময় ১১ এমপিকে বৈঠকে পরিচয় করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে অবশ্য সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেছিলেন, উত্তরে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সম্পাদক নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র এমপিরা আমাদের দলেরই লোক। সংসদীয় বোর্ডেও বৈঠকে তাদের আনুষ্ঠানিক যোগদানের প্রয়োজন পড়ে না। তবে বৈঠক থেকে আমরা স্বতন্ত্র এমপিদের আওয়ামী লীগ দলের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছি।

আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি, তোষামদি যেই হারে যোগ হয়েছে, তাতে করে অন্যায়ের চাষাবাদ চলবে এভাবেই। হয়তো এসব কারনেই ১৬ স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে ৫ জন অংশ নেননি। তারা হলেন- ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মকবুল হোসেন, হাজী রহীম উল্লাহ ও উষাতন তালুকদার। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে বৈঠকে বক্তব্য দেন সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। তিনি বলেন, একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে গত নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। আগামী নির্বাচনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেব। এ সময় অবশ্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর যোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলে যোগ দিয়েছেন; আমার কাছে খবর আছে, এলাকার অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। এখন এলাকায় গিয়ে দ্রুত তা তুলে নেবেন।

আবুল কালাম আজাদ (গাইবান্ধা-৪০), ছলিম উদ্দীন তরফদার (নওগাঁ-৩), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), তাহজীব আলম সিদ্দিকী (ঝিনাইদহ-২), স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর-৫), হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), কামরুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (নরসংিদী-৩), আবদুল মতিন (মৌলভীবাজার-২), ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩) এবং মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪)-এর অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কিন্তু বারবার এটাই প্রমাণ হয়েছে যে, জনগনের রায়ের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে।

রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়া বয়ে চলছে। সাংবাদিকবন্ধু মশিউর রহমান রুবেল-এর একটি প্রতিবেদন পড়ে জানতে পেরেছি যে, নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগই সবার আগে নির্বাচনমুখী রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপিকেও এখন নির্বাচনী রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। বসে নেই সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিও। তারাও নড়েচড়ে বসছে। জাতীয় পার্টি বলছে, আগামীতে যেই ক্ষমতায় যাক তারাই নাকি হবে ক্ষমতার নিয়ামক। এরই মধ্যে ৫৮টি দল নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক জোট সম্মিলিত ‘জাতীয় ঐক্যজোট’ আত্মপ্রকাশের পাশাপশি ৩০০ শত আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'র মধ্যে টানাটানি চলছেই। একক নির্বাচনের কথা ভাবছে না আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি'র কেউই। হাওড় অঞ্চলে বন্যার প্রকোপে কিছুদিন রাজনীতি নিষ্ক্রিয় থাকলেও এখন মাঠ বেশ গরম। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আগামী ১০ মে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। এতে সাংবাদিক ছাড়াও বিদেশি কূটনীতিক আর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই সাংবাদিক সম্মেলনকে উপলক্ষ করে বিএনপি'তে একটা চাঙ্গা ভাব দেখা যাচ্ছে। জেলায় জেলায় দলের নেতারা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্যে খালেদা জিয়ার নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা মানতে হবে। খালেদা জিয়া শুধু নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখাই নয়, ‘ভিশন -২০৩০’ নামের একটি টার্গেটও ঘোষণা করবেন। এরই আদলে বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্যে আগামী সংসদ নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জের। কারণ দলের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা মনে করেন, তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়।

এবার বিএনপি যে নির্বাচনে যাচ্ছে সেটা আওয়ামী লীগ নেতারা নিশ্চিত। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে তাদের দলের নিবন্ধন বাতিল হবে। ফলে এতটা ঝুঁকি বিএনপি নেবে না। তার ওপর বিএনপি না গেলেও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাচ্ছে। ফলে নির্বাচন করতে সরকারের কোনও অসুবিধা হবে না। এ অবস্থায় বিএনপি নির্বাচন বর্জনের মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত আবার নেবে না বলেই আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন। এসব মূল্যায়ন করে বিএনপি'র অনেক আগেই আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্থানের জনসভায় নির্বাচনী বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষ কিছু পায়। বিএনপি শুধু লুটপাট করে। প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের নির্বাচনী বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন আগেই। তিনি এটাও বলেছেন, ক্ষমতায় না গেলেও তিনি জনগণের জন্যেই কাজ করবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সারাদেশে দলীয় কর্মকা- চাঙ্গা করতে বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। তিনি দলীয় কর্মীদের সতর্ক করছেন এই বলে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে নেতাকর্মীদের পালাতে হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কৌশল, নির্বাচনী ইশতেহার, জোট গঠনের কাজ অনেকদিন ধরেই চলছে। দলের গবেষণা সেল সিআরআই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরবে। এসব প্রস্তুতি আরও জোরদার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে নির্বাচনের আগেই সেগুলো শেষ করার চেষ্টা করছে। তবে ২০১৮ সালে নির্বাচন হবে এটা প্রায় নিশ্চিত। তার আগে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ জনহিতকর বা দৃশ্যমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে আওয়ামী লীগের জন্যে নির্বাচনে সুফল পেতে সুবিধা পাবে। আর নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে তিস্তা চুক্তি হয়ে গেলে তো ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ‘ছক্কা’ হাঁকাবে। তার ওপর ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ আর ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তরে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি তো থাকছেই।

প্রতিশ্রুতি, সম্ভাবনা আর সফলতার রাস্তায় অগ্রসর হওয়ার রাজনীতিতে সবার মত অবিরত কাজ করছে ছাত্র-যুব-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার রাজনৈতিকধারা নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র নেতাকর্মীরাও। কাজ করছে ছাত্র-যুব-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাকে কাছে ডেকে, কাছে রেখে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নতুন প্রজন্মের জন্য ‘নতুনধারার অঙ্গীকার/ দুর্নীতি থাকবে না আর’-এর ঐক্যবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের তথ্য সারাদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এইচ এম এরশাদ আবার আরেকটি জোট নামক ভোটহীন নাটক শুরু করেছেন। যে জোটে কোন ভোট না থাকলেও আছে গুরু মারা শিষ্যেও রাজনীতি। এই রাজনীতিকে ‘না’ বলে এগিয়ে চলতে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। যাদের দুচোখ ভরা স্বপ্ন নির্মমতা-দুর্নীতি-খুন-গুমমুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে এরশাদ-এর রাজনীতি কতটা আলোর মুখ দেখবে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর রাজনীতি কতটা হালে পানি পাবে, বিএনপি’র খালেদা জিয়া আদৌ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আলো-আঁধারির এই ঘণঘটা থেকে কতটা বেরুতে পারবে? প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সময়। এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন, নির্বাচনে পরিবর্তন...

মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি এবং উপদেষ্টা, জাতীয় শিক্ষাধারা

সাম্প্রতিক