sompaaa(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)


যে কোন নির্বাচনে জয়পরাজয় আছেই। অর্থাৎ একজন জিতবে, আরেকজন হারবে, একদল জিতবে, আরেক দল হারবে। গণতান্ত্রিক দৃষ্টি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ইহাই বাস্তবতা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি কোনভাবেই এর বাইরে যাওয়ার আদৌ কোন সুযোগ নেই। যদি কোন ব্যাক্তি ও দল এ প্রবিধানের বাইরে চলে যায়, তখনই সেটা অগণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র ও দোষারোপের শ্রেণী বিন্যাসের রাজনীতিরই নামান্তর।

২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচন আইয়ুবী মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে এটাকে দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচন বলে মনে করেনা। অপরদিকে ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে সেই দলের রেজিষ্ট্রেশান বাতিল হয়ে যাবে বলে যারা বলে থাকে তাহাও কোন যুক্তিতে আসেনা, কারণ এটা দলের নিজস্ব ব্যাপার। সবকিছুতে শেষ আছে এবং খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে অস্বীকার করা তাহাও অগণতন্ত্রেরই নামান্তর। গণতান্ত্রিক রাষট্র ও সরকারের নিকট যে কোন দল বা ব্যক্তির কিছু বক্তব্য থাকতেই পারে। তাই বলে খোঁড়াযুক্তি দাঁড় করানো কে গণতন্ত্র কোন অবস্থাতেই তা মেনে নেয়না। গণতন্ত্র একটি বিশাল বট গাছ। যার ডালপালা সুবি¯তৃত, সুবিন্যস্ত ও সম্প্রসারিত। তাছাড়া গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের দ্বারা জনগণ কর্তৃক ও জনগণের জন্য পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা। (এড়াবৎসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব).

সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় ইবলিশ ও পাগল ছাড়া কেহ স্বৈরাচারের ধ্বজাধারী হতে পারে না। ইবলিশ ও পাগল পেছনে তাকায় না বলেই পরিণতির কথা চিন্তা করে না। ইতিহাসের জনক হেরিডোটাস লিখেছেন, গণতন্ত্র বিমুখ স্বৈরাচার ও এক নায়েকের পরিণতি ভয়াবহ ও মর্মান্তিক। হিটলার, মুসোলিনি, জার, চেংগিস খান, হালাকু খান, তৈমুর লং, চসেস্কুর উত্থান ও পতনকে অনেকেই উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। ২০১৯ সালে দেশে যে সাধারণ নির্বাচন আসছে দেশের মানুষ যেমনি আর একতরফা নির্বাচন দেখতে চায়না তেমনি ভোটার বিহীন এমপি, পার্লামেন্ট ও “সিল মার ভাই সিল মার” এমন স্লোগান দিয়ে প্রিসাইডিং ও পুলিং এজেন্টদেরকে বেড় করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে কেন্দ্র দখলের কিয়ামত আর দেখতে চায়না। যার প্রমাণ মেলে ১৯৮৬, ৮৮, ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারী ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর দেশের সাধারণ নির্বাচনে। তারপর অনেক সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, ইউপি, পৌরসভা ও মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের একতরফা নির্বাচনের কথা নাই বা বললাম।
চলমান পাতা/২
পাতা: ২

দেশের মানুষ কামনা করে সকল দলের অংশগ্রহনে “আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব” ইসির গতানুগতিক স্লোগানকে কথায় নয় কাজে রূপান্তরিত করা। গণতান্ত্রিক আদলে অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন দেশ ও বিদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য দৃশ্যপটের নির্বাচন। একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য (সবসনবৎ ড়ভ ঢ়ধৎষরধসবহঃ) সাংবিধানিকভাবে বিশাল ক্ষমতার অধিকারী। তদোপরি তার মর্যাদা একজন সচিব ও ক্যাবিনেট ডিভিশনের সচিবের উচ্চাসনে। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বর্তমানে অনেক সংসদ সদস্যই নিরাপত্তার জন্য সাথে পুলিশ প্রটেকশান নিয়ে থাকেন। এ অবস্থা অতীতে ছিল না। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সহ যে কোন জনপ্রতিনিধির প্রটেকশান হচ্ছে এলাকার জনগণ। যদি সেই প্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৯৭০ ও তৎ পরবর্তী সময়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনোরঞ্জন ধর, ডাঃ ফজলুল করিম, আসাদুজ্জামান খান সহ এমন অনেকেই জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হলে এসডিও, এসডিপিও, এসপি ও ডিসি তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রটেকশান দিতে চাইলেও উনারা নাকি তা গ্রহণ করেননি। বরং বলতেন জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রটেকশানের প্রয়োজন নেই। জনগণই আমাদের নিরাপত্তা দিবে। কিসের পুলিশি প্রটেকশান? যদিও একসময় তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি অপর তিনজন যথাক্রমে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, পাট প্রতিমন্ত্রী ও ১৯৭৯ সালের সংসদে বিরোধী দলের নেতা হয়েছিলেন। তাদের কাছে নিজ দল ও অন্যান্য দল এবং দেশের সাধারণ মানুষের মর্যাদা ছিল সমান।

কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া হোসেনপুর এলাকার নির্বাচিত এম.এন.এ, এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও বিরোধী দলের প্রয়াত নেতা আসাদুজ্জামান খান সম্পর্কে জানামতে একটি ঘটনার উদাহরণ তোলে না ধরলেই নয়। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওনার প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে ৯ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তম্মধ্যে বিএনপি, মুসলীম লীগ ও ভাসানী ন্যাপের প্রার্থী ছিল ওনার প্রতিদ্বন্ধী। আর আসাদুজ্জামান খান ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের যাচাই বাছাই হচ্ছিল। তাদের মধ্যে ভাসানী ন্যাপের কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে আমাকে (এ.কে.এম শামছুল হক রেনু) ময়মনসিংহের জেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) কেরামত আলী সাহেব দেখা বয়সের কারণে নির্বাচন থেকে আমাকে বাদ দিতে চাইলে, আওয়ামী লীগ সংসদ পদ প্রার্থী ও সাবেক এমপি, আসাদুজ্জামান খান বলে উঠলেন, না তাকে বাদ দেয়া যাবেনা। কারণ দেখার দৃষ্টিতে তার বয়স কম মনে হলেও ভোটার তালিকায় তার বয়স ২৫ উল্লেখ রয়েছে। ফলে আমাকে সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসার তা মেনে নেন। যদিও বর্তমানে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর কাছ থেকে এমন আশা করা যায় না।

বর্তমানে রাজনীতি এবং নির্বাচন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে এসব শিক্ষা থেকে এটাই মনে হয়, যেন আকাশ পাতাল ব্যবধান। তাছাড়া বর্তমানে রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের হাবভাব দেখে অনেকেই মনে করে এখন কেমন যেন কথাবার্তায়ও একের প্রতি অপরের সৌজন্যবোধ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই উপখ্যান থেকে যতদিন বেড় না হওয়া যাবে ততদিন দেশের কল্যাণ, উন্নয়ন, স্বচ্ছ, সুন্দর রাজনীতি থেকে সমূহ পেছনে পড়ার সম্ভাবনাই বেশী। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবসায়ী সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৫ শতাংশ, ১৯৭৯ সালে ৩৫ শতাংশ, ১৯৯৬ সালে ৪৮ শতাংশ, ২০০১ সালে ৫১ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৬৩ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে এটা দাঁড়ায় ৬৯ শতাংশে। ফলে রাজনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে যেমনি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি প্রকৃত ত্যাগী ও রাজনীতিকদের সংখ্যা কমছে। ফলে রাজনীতির ধারা বিবর্তিত হয়ে ত্যাগের রাজনীতি আজ ভোগের রাজনীতিতে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে রাজনীতিকদের মুখে অনেক সময় অশোভনীয় শব্দ ও বাক্য চয়ন, এক ধরণের মিথ্যাচারের সংস্কৃতি এবং একে অপরকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ঘায়েল করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে দেশের মানুষের কাছে রাজনীতিকদের ব্যক্তিত্ব ও সম্মান দিনের পর দিন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এক সময় যেখানে মহৎ ও বিখ্যাত মানুষরা রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দেশের কল্যাণ ও উন্নতির কথা চিন্তা করতো আজ ব্যক্তিত্ব ও সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার কথা চিন্তা করে অনেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত হতে চায়না। তদোপরি গণতান্ত্রিক ধারায় যে রাজনীতি হওয়ার কথা তার আজ আকাল। একসময় কে নির্বাচন কমিশনার হল বা কে সিইসি হবে এ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। কারণ এ পদটি রাষ্ট্রের নিরপেক্ষ ও সাংবিধানিক। কারণ তারা ছিলেন বাস্তবিকই নিরপেক্ষ। ম্যাকিয়াভেলি ও এ্যারিস্টটল তাদের রাজনৈতিক সম্পর্কিত গ্রন্থগুলোতে এ সম্পর্কে বি¯তৃত আলোচনা করেছেন।

চলমান পাতা/৩
পাতা: ৩

“আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশী তাকে দিব” এই সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে এসে ভোট কেন্দ্র দখল, প্রিসাইডিং ও পুলিং এজেন্টদেরকে বেড় করে দিয়ে ব্যালট পেপারে ইচ্ছে মতো সিল মারে “সিল মার ভাই সিল মার” এই অপসংস্কৃতি থেকে যত তাড়াতাড়ি বেড় হওয়া যায় ততই জাতির জন্য মঙ্গল। ২৬/৪/১৭ ইং বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কেন্দ্র দখল, হামলা, ভাংচোর, সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালির ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে অনেক কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখানে সংঘর্ষে এক শিশু নিহত, দুজন গুলি বিদ্ধ হয়েছে ও মারাত্মক আহত হয়েছে আরো ২০ জন। সেখানে সরকার সমর্থিতদের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার সহ আরো ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদনের দৃশ্য দেখে অশ্রু সংবরণ করা দুরুহ। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিজ্ঞজনদের ধারণা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আগ থেকেই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এমরান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার সমর্থক কয়েকজন চিহ্নিত লোক ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে কেন্দ্রে হামলা ও তৎ সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের নিকট হতে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার সাথে জড়িত। “সিল মার ভাই সিল মার” এ প্রবণতাকে রুখতে হলে দরকার ডানে বামে না থাকিয়ে দড়ি শক্ত হাতে ধরে চোখ মুজে অন্ধের মতো হেঁছকা টান দেয়ার কথা দেশের সুশীল সমাজ ও বিজ্ঞজনরা মনে করে থাকে।

একবার কোন এক রাজার রাজ্যে বেসামালভাবে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বেড়ে গেলে রাজা অধৈর্য হয়ে রাজ্যময় ঢাকঢোল পিটিয়ে দিয়ে পাইক পেয়াদাকে বললেন, ওদেরকের ধরে এনে কঠোর শাস্তি দেয়ার জন্য। যখন পাইক পেয়াদারা তাদেরকে ধরতে যায় গিয়ে দেখে সবাই রাজার পালিত লোক। তখন রাজাকে পাইক পেয়াদারা বললো, হুজুর যে দিকেই তাকানো যায়, সবাই দেখি আপনার লোত। তা শুনে রাজা বললেন, চোখ বুজে অন্ধের মতো হেঁচকা টান দিলেই তো এমন হয়না। তারপর পাইক পেয়াদারা বললো হুজুর মৌখিক আদেশ নয়, বক্তৃতা নং পাতলা কাগজে আদেশ করুন। দেখবেন কত ধানে কত চাউল।

১৯৫৯ সালে মানবাধিকারের অগ্নিপুরুষ ম্যালকম এক্স এক সমাবেশে বলেছিলেন “যত পারো বুক ঝাঁঝরা করে দাও, কিন্তু ভোটাধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বোনা”। গণতন্ত্রের প্রবক্তা আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, “ ও ধস হড়ঃ নড়ঁহফ ঃড় রিহ, নঁঃ ও ধস নড়ঁহফ ঃড় নব ঃৎঁব, ও ধস হড়ঃ নড়ঁহফ ঃড় ংঁপপববফ, নঁঃ ও ধস নড়ঁহফ ঃড় ষরাব নু ঃযব ষরমযঃ ঃযধঃ ও যধাব. ও সঁংঃ ংঃধহফ রিঃয ধহুনড়ফু ঃযধঃ ংঃধহফং ৎরমযঃ ধহফ ংঃধহফ রিঃয যরস. ঐব রং ৎরমযঃ ধহফ ঢ়ধৎঃ রিঃয যরস যিবহ যব মড়বং ৎিড়হম.” অর্থাৎ আমি সত্যকে বিসর্জন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে বাধ্য নই। আমি আমার জ্ঞানের আলো সেই লোকটির পেছনে থাকব, যতক্ষণ সে সত্যের পথে থাকে। আর যখন সে সত্য থেকে বিচ্যুৎ হবে, তখন আমিও তাকে ত্যাগ করবো। হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, “ঞযব ংঃধঃব ড়ভ শধভভধৎ সধু ৎঁহ, নঁঃ হড়ঃ ধ ংঃধঃব ড়ভ রহলঁংঃরপব. কাফের রাষ্ট্র চালাতে পারে, কিন্তু ন্যায় বিচারহীন রাষ্ট্র চলতে পারে না। একজন বিজ্ঞজন বলেছেন, ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক নিষ্টুর শাসকেরা ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে যায়, তাই ইতিহাসের শিক্ষা তারা নেয়না। ঞযধঃ হড়নড়ফু ঃধশবং ষবংংড়হ ভৎড়স যরংঃড়ৎু; রং রঃংবষভ ধ ষবংংড়হ ড়ভ যরংঃড়ৎু. অর্থাৎ কেউ যে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়না সেটাই ইতিহাসের শিক্ষা। হযরত সোলায়মান (আ:) এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অন্যায়কারী তার দুষ্কর্মের রশিতেই বাঁধা পড়বে এবং একদিন না একদিন তাকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হবে। একটি প্রবাদ আছে, ুড়ঁ পধহ ভড়ড়ষ ংড়সব ঢ়বড়ঢ়ষব ভড়ৎ ংড়সব ঃরসব, নঁঃ ুড়ঁ পধহ হড়ঃ ভড়ড়ষ ধষষ ঢ়বড়ঢ়ষব ভড়ৎ ধষষ ঃরসব. অর্থাৎ কিছু লোককে তুমি কিছু সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারো, কিন্তু সব লোককে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারো না।

স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে এত ঠেলা ধাক্কা, এত কিছুর পরও ইসি ও সিইসির প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা কম নহে। যদি এর ব্যর্থয় হয় তবে হয়তো কোন বেরসিক মনের দুঃখ কষ্টে গানের সুরে বলতেই পারে “কোকিল ডাকিছ নারে আর- “সুখে দুঃখে জনম গেল, সুুখ হইল না আর”।


(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)
লেখক কলামিষ্ট

সাম্প্রতিক