mobile-towerঢাকা : মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে নিঃসৃত তেজস্ক্রিয় (রেডিয়েশন) খুবই উচ্চমাত্রার এবং তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একথা উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে সব মোবাইল অপরারেটর এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে (বিটিআরসি) এই তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়াও সাতদিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের বেঞ্চ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বিটিআরসি এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।

আণবিক কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তেজস্ক্রিয়তা ঝুঁকিপূর্ণ কিন্ত ঠিক কতটা ঝুঁকিপূর্ণতা তা জানান জন্য যথাযথ গবেষণা প্রয়োজন।

রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এক আবেদনে বলেন, ‘যেহেতু কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দিয়ে গবেষণাটি করানোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। দুটি বিষয়েই আগামী মঙ্গলবার আদালত সিদ্ধান্ত জানাবেন। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি এফিডেভিড করে আদালতে জমা দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

২০১২ সালের অক্টোবরে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস এই আদেশ প্রদান করেন।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সাম্প্রতিক