pm parlamentঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

গতকাল বুধবার সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। বিনা অপরাধে জেলবন্দিরা রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, যারা বিনা অপরাধে আটক রয়েছেন, তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন। কেউ চাইলে রাষ্ট্রের কাছেও ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন, সেই বিধানও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারেন অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক রয়েছে। এসব আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা দরকার। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এসব ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ

সরকার দলীয় সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ। তিনি জানান, নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- এ গভীর উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নারী সমাজের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। তিনি আমাদের উপহার দেন ’৭২ এর অনন্য সংবিধান। যা কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথাই বলেনি; অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে নারী-পুরুষের সমতাও সমুন্নত করেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম জাতির পিতা নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত করেন। এটাই বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

বর্তমান সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্পিকার, মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে, ব্যাংকিং সেক্টরে উচ্চপদ, রাষ্ট্রদূত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা নারীদের নিয়োগ বা দায়িত্ব প্রদান করেছি। সকল মন্ত্রণালয়ে নারী উন্নয়ন সংক্রান্ত ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।

নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, নারীর ক্ষমতায়নে ও জেন্ডার সমতা নির্ধারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় চারটি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- নারীর সামর্থ্য উন্নীতকরণ, নারীর অর্থনৈতিক প্রাপ্তি বৃদ্ধিকরণ, নারীর মত প্রকাশ ও মত প্রকাশের মাধ্যম সমপ্রসারণ এবং নারীর উন্নয়নে একটি সক্রিয় পরিবেশ সৃষ্টিকরণ।

শেখ হাসিনা জানান, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নে আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৬ অনুযায়ী ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম।

শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগে ১৩৭৬ শিল্প প্রকল্প নিবন্ধিত

সরকারি দলের কামরুল আশরাফ খান পোটনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে শতভাগ বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩৭৬টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২ হাজার ১১৩ মিলিয়ন টাকা।

সাম্প্রতিক