ঢাকা : বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট খেলার হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে আছেন সাকিব আল হাসান। সবকিছু ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টই হবে সাকিবের ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। একই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে তার ঘনিস্ট বন্ধু ওপেনার তামিম ইকবালও। আজ মিরপুরে দলের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন ১০ বছরে ৫০ টেস্ট খেললেও খুব বেশি আফসোস নেই তার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে ভালো কিছু করতে চান তিনি।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনের পর নিজের ৫০তম টেস্ট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রথম টেস্ট খেলার সময় চিন্তা ছিলো না যে কতোটা খেলবো, কতোদিন খেলবো। সে সময় একটা মজা ছিলো। সেটা এখন নেই, তেমন না। কিন্তু এখন পরিবেশ অন্য রকম, দায়িত্ব; সব কিছুই আলাদা।’
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১টি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। মুশফিকুর রহিম ৫৪টি, হাবিবুল বাশার সুমন ৫০টি টেস্ট খেলেছেন। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন ৫০তম টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছরে অনেক ক্রিকেটারই একশো খেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ কম টেস্ট খেলায় সাকিব পঞ্চাশই পার হতে পারেননি। আজ এ প্রসঙ্গে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেন, ‘জীবনে খুব বেশি আফসোস নাই। ওদিক চিন্তা করলে যা হয়েছে, তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। বেশি খেলতে পারলে ভালো লাগতো। খেলতে পারি নাই বলে আফসোস নাই। যতোগুলো ম্যাচ খেলেছি, তাতে কতোটা পারফর্ম করেছি, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সামনে দুটি ম্যাচে চেষ্টা করবো ভালো কিছু করতে। এ বছর আমাদের দলের অনেকেই খুব ভালো করেছে। আশা করি এই সিরিজেও ভালো কিছু হবে।’
নিজের ক্যারিয়ারের স্মরণীয় পারফরম্যান্সগুলোর কথাও বলেছেন সাকিব। ৩০ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার বলেন, ‘স্মরণীয় টেস্ট ইংল্যান্ডেরটা (২০১৬ সালে)। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ৯২ করেছিলাম, সেটা মনে পড়ছে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭, বড় অর্জন ছিলো। বোলিংয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে (২০০৮ সালে)।’
৪৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে পাঁচটি সেঞ্চুরিসহ ৩ হাজার ৪৭৯ রান, ১৭৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। অথচ এবারই ক্যারিয়ারে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট খেলতে নামবেন তিনি। শুধু সাকিব নন বর্তমান বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ই এবার প্রথম টেস্ট খেলবেন অজিদের বিরুদ্ধে।
সাকিব বলেন, ‘এটা একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। ওদের সঙ্গে নানা সময়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলেছি। টেস্ট এই প্রথম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওদের সঙ্গে একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে। একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। অসট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড টেস্টকে আলাদা মূল্যায়ন করে। যেটা অন্যেরা করে না। এ রকম একটা দেশের সঙ্গে টেস্ট খেলা রোমাঞ্চকর।
< Prev | Next > |
---|