স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনিক কাঠামোকে ঢেওে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বিশেষ জাতীয় নিবন্ধন অনু বিভাগকে মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধিকরণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন, সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মামলা, পদোন্নতি জট কমানো, বিভিন্ন নির্বাচনী মামলা নিষ্পত্তি এবং স্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা শাখা খোলার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) মাঠপর্যায়ে কিছু ক্ষমতা দিতে যাচ্ছে। যাতে করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ছোট ছোট বিষয়গুলো নিজেরাই দেখতে পারেন। সকল জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে ওই সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সংস্কার প্রস্তাবনাও তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা শাখা খোলা হচ্ছে। তবে নিয়োগ-বিধিমালা ছাড়াই চলছে সাংবিধানিক ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এমনকি সাংগঠনিক জনবল কাঠামো নেই। নিয়োগ বিধি না থাকায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদোন্নতি আটকে রয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনী মামলার কারণে অনেক নির্বাচন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পারছে না।
সূত্র জানায়, ইসির সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে এনআইডিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ এনআইডিতে যেসব টেকনিশিয়ান কাজ করেন তারা একটি প্রকল্পের অধীন। ফলে প্রকল্প শেষ হলে এনআইডির কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সেজন্য স্থায়ীভাবে এনআইডির পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আগামীতে এনআইডির কার্যক্রম ইসির আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা অফিসে ছড়িয়ে দেয়া হবে। প্রতিটি অফিসে এনআইডির জন্য আলাদা জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে জনবল বৃদ্ধির বিধিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে ১৮টি ক্যাটাগরিতে পদের সংখ্যা ৭১টি। তার মধ্যে কর্মরত আছে ৩৬ জন। শূন্য পদ ৩৫টি। তাছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগে প্রকল্পের ২০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। সারাদেশে পরিচয়পত্র বিতরণের জন্য ওই জনবল খুবই কম হওয়ায় ওই বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হচ্ছে। এনআইডি উইংয়ের নতুন প্রস্তাবনায় ২৮টি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৮৯টি পদ রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোয় বেশকিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারণ কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে সাংগঠনিক কাঠামোয় পরিধি বৃদ্ধি করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ পদোন্নতি না পাওয়াসহ ইসির অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা বিষয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
Next > |
---|