ঢাকা : গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে আজ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে পেট্রোবাংলার সঙ্গেও নাইকোর গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। এছাড়া সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে নাইকোর সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুর্নীতি ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দুটি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
জনস্বার্থে আনা এক রিট আবেদনে ইতোপূর্বে দেয়া রুলের শুনানি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে একটি ছিল বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে (জয়েন্ট ভেনচার) কাজের চুক্তি এবং অপরটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার চুক্তি।
আজ রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। নাইকোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সালিসে (বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা) নিয়োজিত আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন গনি।
এ সম্পর্কিত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মে হাইকোর্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর স্বাক্ষরিত যৌথ উদ্যোগ চুক্তি কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে। একই সঙ্গে আদালত ওই চুক্তির কার্যকারিতাও স্থগিত করেছিল।
রিটের রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি), পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং নাইকো কানাডা ও নাইকো বাংলাদেশকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
নাইকোর সঙ্গে করা চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম।
< Prev | Next > |
---|