2tedgdchjআন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক ব্যক্তির ‘জনস্বার্থে’ করা আবেদনে পুলিশের ভুড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের কলকাতা হাই কোর্ট। গত শুক্রবার দেওয়া ওই আদেশে ভুড়িধারী পুলিশের শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা যায় কি না, আদালত সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভুঁড়িধারী পুলিশের সংখ্যা ভুরি ভুরি। তাদের নিয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন কমল দে।

তার দাবি, কলকাতা পুলিশের এক শ্রেণির কর্মী ভুঁড়ি থাকার কারণে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। ভুঁড়ির কারণে চোরের পিছনে ছুটতে পুলিশের ক্লান্ত দশা, আর চোর পগারপার। প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকজন ভুঁড়িধারী পুলিশের ছবিও আদালতকে দেখান কমল। কলকাতার একটি থানার ওসির ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ভুঁড়িধারী ওই কর্মকর্তাকে ২০১৫ সালে পদকও দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা কমে গেলে তাদের পক্ষে অপরাধীদের ধরা বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা অথবা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে না উল্লেখ করে আদালতের হস্তক্ষেপ চান কমল। শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, মোটা হয়ে যাওয়া বা ভুঁড়ি হওয়া শুধু এ রাজ্যের সমস্যা নয়, এটা এখন সারা পৃথিবীর সমস্যা। এটি এক ধরনের অসুস্থতা।

তখন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীতা মাত্রে প্রশ্ন করেন, ভুঁড়িধারী পুলিশ কী করে অপরাধীদের ধাওয়া করে ধরবে? পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা ও সতর্কতা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অথবা এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কী নীতি রয়েছে- হলফনামা আকারে তা আদালতে পেশ করতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভুঁড়িধারী পুলিশ দেখলে তাকে ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শ দিতেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। সাবেক এক পুলিশ কমিশনার আনন্দবাজারকে বলেন, সিদ্ধার্থবাবু মনে করতেন, পুলিশের চেহারা হবে ঋজু, চাবুকের মতো। সিদ্ধার্থবাবুকে অনেক বারই দেখা গেছে পরিচিত কোনো পুলিশ অফিসারের ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে হেসে তা কমাতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক