স্টাফ রিপোর্টার: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সকালের অংশের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে; এর আগে বিকালের অংশ স্থগিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু তালেব বলেন, আমরা প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ পাইনি। আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি। তারপরও সকালের পরীক্ষা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। পরে একসঙ্গে দুটি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। রাষ্ট্রায়ত্ত সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে।
দরপত্রের মাধ্যমে এবার ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগকে অগ্রণীর নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই ভাগ মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৩ হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। এর মধ্যে সকালের অংশে এক লাখ চারকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষা দিলেও বিকালের অংশের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের কারণে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রথম ভাগের পরীক্ষা শুরুর আগেই একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে খবর আসে। ফেইসবুকেও অনেকে ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নের’ ছবি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতিতে সকালের অংশের পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর আয়োজক কর্তৃপক্ষ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় নির্ধারিত দ্বিতীয় অংশের পরীক্ষা স্থগিত করে।
< Prev | Next > |
---|