স্টাফ রিপোর্টার: অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তলনের কারণে শুষ্ক মৌসুমেও রাজশাহীর পদ্মায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পবা উপজেলার হারুপুর এলাকার পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি স্থানে বিশাল আকারের ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তীরবর্তী জনসাধারণ। কিন্তু এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজশাহীর কোন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসির।
এলাকাবাসির অভিযোগ, পদ্মার ধার থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণেই এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সরকারি দলের অসাধু নেতা ও প্রশাসনের যোগসাজসেই এ অব্যাহত রয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। আর গত কয়েকদিন থেকে ধারাবাহিকভাবে ঘটা ফাটলের সাথে নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি। ইতিমধ্যেই দুই থেকে তিন একর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে বলেও দাবি এলাকাবাসির। এছাড়াও কিছু কিছু এলাকায় প্রতিদিন ভাঙ্গছে নদীর পাড়। শুষ্ক মওসুমে এ ধরনের ভাঙ্গনের ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী থেকে মাত্র ১শ’ দুরে রয়েছে জনবসতি। বর্তমান নদীর ধার যেভাবে ভাঙছে তাতে এবার বর্ষার সময় এই এলাকায় আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। শুস্ক মওসুমে যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে পদ্মার তীরবর্তী শহর রক্ষা বাঁধসহ জনবসতির কাছাকাছি এই ভাঙ্গন আসতে বেশি দেরি নেই। আর এভাবে ভাঙন জনবসতির কাছাকাছি এলে এই এলাকায় আর মানুষ বসবাস করতে পারবে না। সৃষ্টি হবে ভয়বহ অবস্থার
স্থানীয়রা আরো জানান, বিশাল আকারের ভাঙন শুরু হলেও পদ্মার একেবারে তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যে কারণে ভাঙ্গন আরো ব্যাপক আকার ধারণ করছে। এভাবে ভাঙতে থাকতে শহর রক্ষা বাঁধসহ জনবসতি হুমকির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে একাধিকবার অবগত করা হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না বলেও অভিযোগ এলাকাবাসির।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার জানান, বালু তোলার বিষয়টি জেলা প্রশাসক জানেন। তারপরেও আমি খোঁজ নিয়ে তাকে রিপোর্ট করবো। একই সাথে ওই এলাকার ভাঙ্গন রোধে ও বাঁধ মেরামতের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোখলেসুর রহমান।
< Prev | Next > |
---|