xfhhk6স্টাফ রিপোর্টার: আগামী দুই বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার চায় পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এ ছাড়া দুই বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা ও পাঁচ বছরের জন্য করপোরেট কর ১০ শতাংশ করার দাবি করেছে সংগঠনটি। 

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার এসব দাবি জানান বিজিএমইএর নেতারা। গত ২৭ মে আয়োজিত সংবাদ একই দাবি করেছিলেন তাঁরা। তবে বাজেটে এসব দাবিদাওয়ার কিছুই বাস্তবায়িত না হওয়ায় আবারও সংবাদ সম্মেলন করেছে সর্বোচ্চ রপ্তানি খাতের মালিকদের এ সংগঠন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ফারুক হাসান, মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ নাছির, এস এম মান্নান, পরিচালক আশিকুর রহমান প্রমুখ।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রম নিবিড় পোশাকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সহায়তা ও প্রণোদনার বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, আরও দুই বছর কোনোভাবে টিকে থাকতে পারলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আরও বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে।’
পোশাক রপ্তানিতে বর্তমানে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী উৎসে কর পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ দেওয়ার সুযোগটি ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। আয়কর আইনের ৫৩ বিবি ও ৫৩ বিবিবিবি ধারায় ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কানাডা ছাড়া নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে ৩ শতাংশ নগদ সহায়তা পান পোশাকশিল্প মালিকেরা। তবে মোট রপ্তানির মাত্র ১৫ শতাংশ নতুন বাজারে হয়ে থাকে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট এখন পর্যন্ত পোশাকশিল্প-বান্ধব হয়নি। তবে আলাপ-আলোচনার সুযোগ এখনো আছে। সে জন্য আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বাজেট পোশাকশিল্প-বান্ধব হবে।

সাম্প্রতিক