প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা, ৩ ডিসম্বের ২০১৬ : বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও নিরাপত্তা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া। সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনসহ সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও নিরাপত্তা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা, ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকসুকুমার সরকার, নিউজপ্রেস বিডি.কমের এডিটর-ইন-চীফ আবদুল মান্নান, দৈনিক মুক্ত বলাকার সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় সাংবাদিকদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, একসময় সংবাদপত্র ছিল সমাজের আয়না। এখন ওই অবস্থা আর নেই। আমরা সাংবাদিকদের লেখনি ও কলমের স্বাধীনতা চাই। সেকালে মানিক মিয়া, জহুর হোসেন চৌধুরী এবং আবুল মনসমুর আহমদরা যেভাবে সাংবাদিকতা করেছেন, সংবাদ তুলে ধরেছেন ওই ধারা অনসুরণের আহ্বান জনান তিনি।
বলেন,৭৫ পরবর্তী ভূমিকাকে আমলে নিয়েই ইতিহাসে জিয়ার যথাযথ স্থান নির্ধারণ করা হবে। লুইকানের নকশা অনুসরণ করে শুধু জিয়ার কবরই না, মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ আরও কয়েকজনের কবর সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বা কোন দলের প্রতি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মানসে বেগম জিয়ার বিচার করা হচ্ছে না। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই বেগম জিয়ার বিচার করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণা হয়ে যাবে। আইন অনুযায়ীই ওই বিচার হচ্ছে।
স্বপন কুমার সাহা বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকদের বৃহত্তর ঐক্যেও কোন বিকল্প নেই।
আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যার বিচারের রায়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, একজন সাংবাদিক হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করার বিষয়টি হাস্যকর এবং সাংবাদিকদের জন্যে অবমাননাকর। এই রায় সাংবাদিকরা মেনে নিতে পারেন না। তিনি অনেক সংবাপত্রে বেতন-ভাতা না দেয়া এবং ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
আতাউর রহমান আইন করে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা বিধান করার দাবি জানান। একইসাথে তিনি ৫ এপ্রিলকে জাতীয় গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানান। এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য পেনশন স্কীম ও বীমা সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের জন্য একটি স্পেশাল প্রক্টেশন এ্যাক্ট প্রণয়নের জন্য আহবান জানানো হয় ।
খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
ধন্যবাদান্তে :
মনিরুজ্জামান
বিজেআরএফ
০১৭১১৬২৬৫২৭
< Prev | Next > |
---|