ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই রায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উদ্দেশ্যে নয় বরং মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সামরিক শাসকদের অবশেষ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই এ রায় দেয়া হয়েছে। তিনি আজ সচিবালয়স্থ তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ষোড়শ সংশোধনী ছিল সংবিধানের মূল চেতনায় ফিরে যেতে সরকারের প্রচেষ্টার একটি অংশ। সামরিক শাসকরা ১৯৭২ সালের সংবিধানকে কাটছাট করেছিল এবং আদালতের রায় মূল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার চেয়ে ওই কাটছাট করা সংবিধানকে অপরিবর্তিত রাখার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, এই রায় অনেক প্রশ্নের অবতারণা করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধান বিচারপতি সংবিধান পরিবর্তন করতে পারেন কিনা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই রায়ে অনেক বিতর্কিত বিষয় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধান বিচারপতি কি সংবিধানের উর্ধেŸ? তিনি রায় সম্পর্কে সরকারের বিতর্ক সৃষ্টির অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, দেশ কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এ প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি নিজেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী রায়ের অনেক অসঙ্গতির উল্লেখ করে বলেন, এ রায়ে ছয় বিচারপতির ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষণ রয়েছে। রায়ে পর্যবেক্ষণগুলো অনুসরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। আমরা কোনটি অনুসরণ করব। তিনি বলেন, এই রায়ের প্রেক্ষিতে সংসদ কোন পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করতে পারে। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে এই বির্তকের অবসান ঘটাতে পারেন। তিনি বলেন, তাকে (প্রধান বিচারপতি) মনে রাখতে হবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আর বর্তমান পার্লামেন্ট রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেছে। মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় উপায়টি হতে পারে রাষ্ট্রপতি এ ধরনের পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে পারেন। তিনি রায়ে উল্লেখিত আপত্তিকর বিষয়গুলো বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে এই রায়ে কোন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়নি। কোন অচলাবস্থার সৃষ্টি করেনি। এমনকি সরকার স্থবিরও হয়ে পড়েনি। বির্তক মানে বিশৃঙ্খলা নয়। এটি গণতন্ত্রের স্বাভাবিক অংশ।
Next > |
---|