স্টাফ রিপোর্টার: গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.)। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামে জুলধা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কর্ণফুলী উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এই সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়া এবং বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সকল ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনী সবসময় নিয়োজিত থাকবে। নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এতে পক্ষপাতের কোন সুযোগ নেই।
এরকম কিছুর প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় উপস্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনারের প্রতি বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন। এদের একজন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. ওসমান। তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবি জানান। তার এই দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে। তাই সিসিটিভির প্রয়োজন হবে না। এছাড়াও মোবাইল ফোনে এখন ভিডিও ধারণ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। যদি তারা নির্বাচনের আগে আপনাদের কথা না শোনে তাহলে নির্বাচনের পরে এদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। আপনারা আচরণবিধি মেনে চলুন। নির্বাচনী যে ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এর চেয়ে বেশি টাকা খরচ করার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বিজিবি চট্টগ্রামের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল আলম, র্যাব-৭ এর মেজর আশেকুর রহমান, নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাঈদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী, এসএম ফোরকান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী মো. ওসমান, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা, নাছির উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বানাজা বেগম, উম্মে মিরজান শামীমা ও মুন্নি বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্সান উদ্দিন মুরাদ, নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী, কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, পটিয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক চৌধুরী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রকমের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রিজভী বৈরি আবহাওয়ার জন্য নির্বাচন পেছানোর দাবি জানান।
< Prev | Next > |
---|