FNS06-05-2017N 27-2স্টাফ রিপোর্টার: গত দুই বছরে নগরীর উন্নয়ন ও শৃঙ্খলামূলক কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ হুমকি-ধামকি ও প্রতিরোধ এসেছে। কিন্তু কোনো চাপে নতি স্বীকার করেন নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় করপোরেশনের নগর ভবনে মেয়রের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘এগিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ ঢাকা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাঈদ খোকন বলেন, নাগরীকদের নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ফুটপাতে চলাচলের জন্য গুলিস্তান, মতিঝিল, নিউমার্কেটের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। নানাবিধ হুমকি-ধামকি, প্রতিরোধ এসেছে। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করি নি। কর্মদিবসে অফিস আওয়ারের পর হকারদের ফুটপাতে বসার অনুমতি দেওয়ার জন্য সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন দিলকুশা, নবাবপুর রোড, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন স্থান সেগুনবাগিচা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ৫টি হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। সাঈদ খোকন বলেন, বিগত দুই বছরে ডিএসসিসি এলাকায় যে কাজ করেছি তা ১০ বছরেও সম্ভব নয়। দুই বছরে ১০ বছরের কাজ করেছি।

তিনি বলেন, একটি শহরকে মাত্র দুই বছরের মধ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তবে, যেহেতু একজন নির্বাচিত মেয়রের কার্যকাল ৫ বছর সে ক্ষেত্রে ২ বছর কম সময় নয়। আমরা এ দুই বছরে ডিএসসিসি এলাকায় যে উন্নয়ন কাজ করেছি তা ১০ বছরেও সম্ভব নয়। এ সময় দুই বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা তুলে ধরে ডিএসসিসি’র মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় নগরীর রাস্তাগুলোতে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ বাতিও জ¦লতো না। কিন্তু আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অত্যাধুনিক এলইডি বাতি লাগানোর প্রকল্প নিয়েছি। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৭০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত করেছি। এর মধ্যে আমার এলাকার সব ফুটপাত দখল মুক্ত হয়েছে। সড়ক, ড্রেন ও ফুটপাত উন্নয়ন, অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে সড়ক নির্মাণ, রোড মার্কার, মেগা প্রকল্প, অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ, জল সবুজে ঢাকা প্রকল্প, সৌন্দর্য বর্ধন, ই-টেন্ডার চালুকরণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা তুলে ধরেন তিনি। দুই বছরের মেয়াদকালে শতভাগ সফল উল্লেখ করে আগামি ৩ বছরের এর ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীতে যখন কোনো উন্নয়ন কাজ চলে এর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব নাগরিকদের ওপর পড়ে। তবে এসব সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠবো। আশা করি, আগামি জুন ও অগাস্ট মাসের মধ্যে শান্তিনগর এলাকার জলাবদ্ধতা ও মৌচাক-মালিবাগের ফ্লাইওভার নির্মাণের ভোগান্তি থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে। দুই সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের তুলনা করে মেয়র বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে উন্নয়ন কাজে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পিছিয়ে রয়েছে- কাগজে কলমে এর প্রমাণ দিতে পারলে যে কোনো শাস্তি মেনে নিবো। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। আসুন প্রমাণ করুন। আমরা ভোটের সময় জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা রক্ষা করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে আমরা সক্ষম হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ দিদারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক