আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিংয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মনোনীত চিফ অব স্টাফ রেইনস প্রিবাস রোববার এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে রাশিয়া সাইবার হামলা করেছে- গোয়েন্দাদের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজ সানডে অনুষ্ঠানে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রিবাস বলেন, ট্রাম্প এটা বুঝতে পেরেছেন যে, ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে সাইবার হামলার পেছনে মস্কোর হাত ছিল। তিনি বলেন, এই সাইবার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ দেয়ার জন্য গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে 'ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে'।
যদিও ওই হ্যাকিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাম্প মেনে নিয়েছেন কি না তা স্পষ্ট করেননি প্রিবাস। অবশ্য ট্রাম্প নিজ মুখে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু বলেননি।
এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে কাগজে-কলমে নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে মস্কোর ভূমিকার প্রমাণ হাজির করে।
এতে বলা হয়, গত ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির কম্পিউটার ডাটাবেইসে যে সাইবার হামলা হয়, তার লক্ষ্য ছিল একদিকে হিলারি ক্লিনটনের ব্যাপারে সন্দেহ জাগিয়ে তোলা। অন্যদিকে ট্রাম্পের বিজয়ে সাহায্য করা। আর এ কাজ করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন 'নির্দেশ' দিয়েছিলেন।
অবশ্য শুরু থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। গোয়েন্দাপ্রধানেরা প্রমাণপত্র হাজির করার পর তিনি নত হন এবং বিষয়টি তদন্তের কথা জানান। একই সঙ্গে ট্রাম্প এও দাবি করেন, নির্বাচনে হ্যাকিং হলেও তাতে ফলাফল প্রভাবিত হয়নি।
একদিন পরই অবশ্য সুর পাল্টে শনিবার তিনি নতুন এক টুইটার বার্তায় অভিযোগ করেন, 'শুধু 'বোকা ও নির্বোধ' লোকেরাই চায় না মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ভালো হোক।' - রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান
< Prev | Next > |
---|