ঢাকা : দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা করেন তিনি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশে সফলভাবে যে নির্বাচনটা হয়েছে, যে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে, সংসদে এখন আর খিস্তিখেউড় হয় না, নোংরা কথা হয় না, সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে—এটাই প্রমাণিত হয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সত্যের অপলাপ করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বছরের ‘সুপার জোকস’ বলা যায়। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রের মূল বিষয় গণমাধ্যম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের চেয়েও দুই ধাপ নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদনেও দেখা যায় যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ সরকার’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি হচ্ছে এদের প্রধান উদ্দেশ্য, যার উত্তর সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁরা দুর্নীতি করছেন এবং পালিয়ে যাবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ মে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ও ৮ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহানগর উত্তরের কর্মিসভার তারিখ ঠিক করা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে এ সভা দুটি হবে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মিসভা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি তাদের সাংগঠনিক জেলাগুলোতে কর্মিসভা শুরু করেছে। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম।
যৌথসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
< Prev | Next > |
---|