dfhfrge1স্টাফ রিপোর্টার: বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল ভলিউম বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল গেইটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইজিডব্লিউ) অতিরিক্ত আয়ের পথ বন্ধে সরকার গঠিত কমিটির প্রস্তাব পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

সম্প্রতি কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সরকারি কমিটি পুনর্গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিশন সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বাস্তবভিত্তিক ইনকামিং কলরেট পুনর্নির্ধারণ, রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলসহ সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন সংশোধনের বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন, বিশেষ করে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের ফোরাম আইওএফের উপযুক্ত প্রতিনিধিদের সঙ্গে অধিকতর ও নিবিড় আলোচনা ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই এ উদ্যোগ। গত মার্চে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল ভলিউম বাড়াতে আইজিডব্লিউগুলোর অতিরিক্ত আয়ের পথ বন্ধসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেয় সরকার গঠিত কমিটি।
কমিটির প্রস্তাব কার্যকর হলে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা আইজিডব্লিউগুলোর অতিরিক্ত আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যেত। পাশাপাশি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে কল করার খরচ কমে বৈধ পথে কলের সংখ্যা বাড়বে বলে কমিটি প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেছিল।
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগে ‘ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট’ প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন দেড় সেন্ট (০.০১৫ ডলার) থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ সেন্ট (০.০১৬ ডলার) নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল কমিটি।

সরকারের সঙ্গে অপারেটরদের রাজস্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে কল রেট সর্বনিম্ন দেড় সেন্ট ধরার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগে ‘ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট’ সর্বনিম্ন দেড় সেন্ট থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ সেন্ট।
আন্তর্জাতিক কল পরিচালনায় কর্তৃত্ব পাওয়া আইজিডব্লিউ অপারেটরদের ফোরাম ‘আইওএফ’ ২০১৫ সালের অগাস্ট থেকে এই হার দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট নির্ধারণ করে।
তখন ‘ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট’ বাড়লেও সরকার, ইন্টার এক্সচেঞ্জ অপারেটর (আইসিএক্স) এবং মোবাইল অপারেটদের মধ্যে দেড় সেন্ট দাম ধরেই রাজস্ব ভাগাভাগি হচ্ছে এবং বাড়তি ৫ সেন্ট (০.০০৫ ডলার) যাচ্ছে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের হাতে।
কল টার্মিনেশন রেট দুই সেন্ট করার পর বৈধ পথে কলের পরিমাণ কমে আসে, ফলশ্রুতিতে সরকার ও অন্যান্য অপারেটরদের আয়ও কমে যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল। দৈনিক ১১ কোটি কল থেকে নেমে আসে সাড়ে সাত কোটিতে।
বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সে সময় জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার পর কল কমে আসায় এবং অবৈধ পথে কলের সংখ্যা বাড়ায় সরকার দৈনিক প্রায় দুই কোটি টাকা করে রাজস্ব হারাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলরেট পুনর্নির্ধারণ রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল এবং সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন সংশোধনে ১৩ সদস্যের কমিটি ওই প্রতিবেদন মার্চে বিটিআরসিতে জমা দেয়।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানকে আহ্বায়ক করে ডাক ও টেলিযোগায়োগ বিভাগ, রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর এই কমিটি করা হয়।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চলে আসা গেইটওয়েগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির কাঠামো পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাবও দিয়েছিল কমিটি।
প্রস্তাবিত হারে কল টার্মিনেশন রেট নির্ধারিত হলে দৈনিক গড় ভলিউম ৮ কোটি মিনিট হবে, যাতে সরকারের রাজস্ব দৈনিক ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল কমিটি।

সাম্প্রতিক