pm-4স্টাফ রিপোর্টার॥ আগামী দিনের প্রতিটি নির্বাচনও অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গত সোমবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাম্প্রতিককালের জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ ভোট দিয়েছে, যেভাবে ভোট দিয়েছে সেভাবেই তারা ফলাফল পেয়েছে। আমি আশা করি আগামি দিনের প্রতিটি নির্বাচন অবধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণের তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দেবে। যাকে চাইবে, তাকে ভোট দেবে। এই স্লোগানতো আমাদেরই ছিল।

শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার এবং ভোটের অধিকার নিয়ে ভবিষ্যতে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে, জনগণের ক্ষমতায়নে এবং জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচনটা প্রহসনে পরিণত হয়েছিলো। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মকা- তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ এটা নিশ্চয়ই বিবেচনা করে দেখবে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশে যখন বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের অবস্থা কেমন ছিল, তারা কেমন ছিলো। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আজকে তারা কেমন আছে। আমরা নিজেরা ভাল থাকতে আসিনি। জনগণকে ভালো রাখতে এসেছি। এটাই আমাদের রাজনীতির ফিলোসফি। বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করাসহ দেশের ইতিহাস বিকৃতি এবং দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতির মধ্যে এটাই বিরাট তফাৎ। এটা মানুষকে বুঝতে হবে। মানুষকে বেছে নিতে হবে তারা শান্তি চায় নাকি অশান্তি বেগমের অশান্তি চায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা শান্তি চাই। জনগণের সেবা করবো। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মুক্ত সোনার বাংলা গড়া আমাদের লক্ষ্য। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাম প্রস্তাব করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই সভাটির আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা বক্তব্যের পর নৈশভোজ ও রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সাম্প্রতিক