7go9kস্টাফ রিপোর্টার: জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে না পারলে কারাগারে যেতে হবে বলে সরকারি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা: দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শিরোনামে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। জনগণকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিউটি, রেসপনসিবিলিটি। দিস ইজ দেয়ার রাইট। ইফ ইউ ফেইল, ইউ হেল্ড আপ ইন জেল। দুদকের আয়োজনে এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইকবাল মাহমুদ বলেন, জনগণকে নিয়ে কাজ করুন। জনগণের বিরুদ্ধে যেন আমরা না দাঁড়াই। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপনি জিতবেন না। কেউ জিততে পারে না। নব্বইয়ে স্বৈরাচারি সরকারের পতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবেন না।

জনগণকে তাদের সেবা দিন। আমরা যদি জনগণকে সেবা দিতে না পারি তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আমরা যেন কেউই আইনের বাইরে গিয়ে কাজ না করি। আমরা যেন জনগণকে সার্ভিস দেই। টাকার বিনিময়ে আমরা যদি সার্ভিস দেই একদিন, দুইদিন, তিন দিন, ১০ দিন.... কাউকে ছাড় দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমি সবাইকে বলছি আইনটা মানেন। সরকারি কার্যালয়গুলোতে বিদ্যমান পদ্ধতি মেনে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তা উন্নত করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যে পদ্ধতি আছে সে পদ্ধতি মানেন, যদি পারেন সে পদ্ধতি উন্নতি করেন। কিন্তু পদ্ধতি থেকে বের হয়ে যাবেন না। আমি জানি আপনাদের চাপ থাকে। সে চাপ সহ্য করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিউটি। চাপের কাছে মাথানত না করার আহ্বান জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আসুন আমরা চাপের কাছে মাথা নত না করে জনগণের কাছে মাথা নত করি। আমরা জনগণের কাছে অ্যাকাউন্টএবল, কোনো ব্যক্তির কাছে অ্যাকাউন্টএবল না। বক্তব্যে দুর্নীতির অভিযোগে অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান। ব্যাংকের বহু এমডি, ব্যবসায়ী এয়াপোর্টের দিকে যেতে পারছেন না। দে আর নট অ্যালাউ টু লিভ দিস কান্ট্রি। সভার শুরুতে বিভিন্ন সরকারি অফিসের বিরুদ্ধে দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন দুদকের মহাপরিচালক (দুর্নীতি প্রতিরোধ ও গণসচেতনা) ড. মো. শামসুল আরেফীন। পরে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সব অভিযোগ সত্য- আমরা বলব না। তবে কিছু যদি সত্য না থাকে তাহলে এতগুলো কন্টেইনার স্ক্যানিং ছাড়া কিভাবে চলে যায়। অনেকে একমত হবেন, ওখানে যে অস্ত্র যায়নি কে বলবে? চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, কাস্টমস কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খানসহ সরকারি কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

সাম্প্রতিক