syed-khokonস্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা চিকুনগুনিয়া মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল শনিবার চিকুনগুনিয়া নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে আয়োজিত এক নাগরিক শোভাযাত্রার শুরুতে মেয়র বলেন, আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বলেছিলাম চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে। গত শুক্রবারও আমি বলেছিলাম তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব। আটদিন পর আপনাদের মুখোমুখি হয়ে বলতে চাই, আগামি ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে চিকুনগুনিয়া রোগ মুক্ত করবই। চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে তাদের ‘সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নাগরিকরাও অনেক সচেতন হওয়ায়’ ডিএসসিসির কাজ ত্বরান্বিত হয়েছে বলে ভাষ্য ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের। ১০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা চিকুনগুনিয়ামুক্ত করার পর তা ফের বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করে তিনি বলেন, ১০ দিন পর হয়তো চিকুনগুনিয়া মুক্ত হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে ৯৮ ভাগ কমে যেতে পারে, ৯৯ ভাগ কমে যেতে পারে। মুক্ত হওয়ার সাতদিন পর আবার নতুন করে এটি ছড়াতে পারে। এ কারণে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। নিজের মা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে এ কারণে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের কষ্ট বোঝেন বলছেন সাঈদ খোকন।

আমি যখন বাসা থেকে বের হই, তখন আমার মা আমাকে দোয়া দেন, সাহস জুগিয়ে পাঠান। তার বিমর্ষ চেহারা দেখে আমি আসি। এই শহরের লক্ষ মায়ের কষ্ট আমি বুঝি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের কষ্টও আমি বুঝি। সেই কষ্ট বুকে ধারণ করেই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি আমি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। এ অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র। এ কারণে চিকুনগুনিয়া নিয়ে চালু করা কল সেন্টারে রোগীরা অনবরত কল করছেন বলে জানান তিনি।

সাঈদ খোকন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কল সেন্টার চালু হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের কল সেন্টারে আসা ৩১ হাজার ৮৫৬টি ফোন ধরা হয়েছে। ২২ হাজার ১১২ জন নাগরিক এসব কল করেছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার নাগরিক ১ হাজার ৪৩০ জন। ৩৩১ জন সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা চেয়েছেন, যার মধ্যে ১৬৬ জনকে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে থেকেও অনেকে কল করেছেন। তারা আমাদের সেবা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, চিকিৎসা সেবা, ওষুধ নেওয়ার জন্য এসব কল এসেছে। নগর ভবন থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি নগর ভবন থেকে গোলাপশাহ মাজার, জিরোপয়েন্ট, পল্টন, প্রেস ক্লাব, কার্জন হল, বঙ্গবাজার হয়ে নগরভবনে এসে শেষ হয়।

 

সাম্প্রতিক