আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনের শহরতলীতে পাহাড় ধসে নিহত প্রায় ৪০০ মানুষের লাশ খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। রিজেন্ট ও ফ্রি টাউনের আশপাশের অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই কোরোমা। গত মঙ্গলবার দেশটির প্রধান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এ খবর জানিয়েছেন। মর্গে সবার লাশ রাখতে যেয়ে জায়গার অভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত সোমবার ভোরে ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে রিজেন্ট শহরে পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে বহু ঘরবাড়ি চাপা পড়ে। এতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে আফ্রিকার অন্যতম প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাটি ঘটে। এতে সামরিক বাহিনীর সদস্য ও অন্যান্য উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া জীবিতদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাটির নীচে চাপা পড়া ঘরগুলোতে অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিবিসি’র একজন প্রতিনিধি জানান, পাহাড় ধসের সময় চাপা পড়া বাড়িগুলোর বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন।
“তল্লাশি অব্যাহত থাকায় আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি, তবে আমাদের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন দেশটির প্রধান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সেনেহ ডুমবুইয়া। এখনো আরো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।এলাকাটিতে অনেক অবৈধ ভবন তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভিক্টোর বকারি ফোহ। রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার একের পর এক লাশ এসে ফ্রিটাউনের মর্গ উপচে পড়ে, জায়গার অভাবে লাশগুলো মেঝেতে ও বাইরে মাটির ওপর রেখে দেওয়া হয়। নিহতদের সবাইকে শনাক্ত করার পর বৃহস্পতিবার ফ্রিটাউনের পৃথক চারটি কবরস্থানে লাশগুলো কবর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি মুখপাত্র। রিজেন্ট এলাকায় ভূমিধসের কারণে ২ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সিয়েরা লিওনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যান্ডি রজার্স। এতবড় দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় ধরনের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
< Prev | Next > |
---|