inu-miaস্টাফ রিপোর্টার: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি শেখ হাসিনা প্রদত্ত নয়, সাইবার অপরাধ দমনের আইন। এর সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ আইনের মধ্যে অনেক সাংবাদিক জড়িয়ে গেছেন, যেটা বিব্রতকর। তবে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না, তথ্য মন্ত্রণালয় খোঁজ-খবর নিয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। বর্তমানে আইনটি পর্যালোচনা পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি এসব কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ আইন সম্পর্কে কোনো সংশোধনী যদি থাকে, তবে তা তথ্য মন্ত্রণালয়, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বলতে পারেন।

মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করা দরকার’, যোগ করেন হাসানুল হক ইনু। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ৭৫’র খুনিরা সংবিধানের বাইরে বাংলাদেশেকে ঠেলে দিয়েছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল, তাদেরই ধারক-বাহক রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সম্প্রদায়িক শক্তি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি জামায়াত এখনো চক্রান্ত করছে। গণতান্ত্রিক দেশ হলে আদালতের রায়ের পর সরকার পদত্যাগ করতো- মির্জা ফখরুলের এ কথার জবাবে ইনু বলেন, সংবিধানের কোনো আইন পর্যালোচনা করে আদালত যদি তা বাতিল করেন তবে তার সঙ্গে সরকারের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। বিচার বিভাগ বিচার বিভাগের কাজ করেছে, আইন বিভাগ আইন বিভাগের কাজ করেছে। সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকলে আদালতের মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে। সেখানে সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই উঠে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহিদ হাসান, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে মন্ত্রী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তিনটি সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।

সাম্প্রতিক