স্টাফ রিপোর্টার: সাত খুন মামলার রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের জন্য একটি বার্তা বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, নৃশংস এবং মর্মান্তিক এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যাই বেশি। এ রায়ের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যাদা রক্ষা হয়েছে। এ মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা বেশি জড়িত হলেও র্যাব তাদের ‘ওন’ করেনি। ঘটনার পর থেকেই র্যাব এই মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সব ধরনের নথিপত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। ফলে মামলার তদন্ত প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। এই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলায় বিভিন্ন ফাঁকফোকর গলিয়ে আসামিদের কেউ বেরিয়ে যেতে পারেনি। সবারই সাজা হয়েছে। এটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ রায়ের ফলে এলিট ফোর্স হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে র্যাবের ওপর কলঙ্ক বর্তায় কি না বা আইন সংশোধনের মাধ্যমে র্যাব পুনর্গঠন করা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না।’ এই রায়ে র্যাব কলঙ্কমুক্ত হয়েছে এবং র্যাবের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়নি; বরং বেড়েছে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য এটি একটি সতর্কসংকেত। এসব বাহিনীর কোনো সদস্য যদি অপরাধ করতে চান, তাহলে এই রায়ের পর তিনি একটি দৃষ্টান্ত পাবেন যে অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। সাত খুনের ঘটনায় দ-িত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫ জনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। মামলার নথিতে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকা- ঘটানো হয়।
< Prev | Next > |
---|