sfgfb7স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের নতুন নাগরিকত্ব আইন কোনোভাবেই স্বার্থ ক্ষুণ্ন করবে না বলে প্রবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে ‘প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন- ২০১৬’ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব আইন কোনোভাবেই প্রবাসীদের স্বার্থ খর্ব করবে না, শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্রের কিছু চাকুরীজীবি ছাড়া। এই আইন সব বাংলাদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমঅধিকার দিচ্ছে। আইনটির মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পত্তির অধিকার কোনোভাবেই ক্ষুণœ হবে না। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো বাংলাদেশি সার্কভুক্ত দেশ বা মিয়ানমারের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারবে না। কেউ বিয়ের সূত্রে এসব দেশের কোনোটির নাগরিক হলে তাদের এক দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হবে। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নাগরিকত্ব আইনের খসড়ায় প্রাথমিক অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খসড়াটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইন চূড়ান্ত করার আগে প্রবাসীদের মতামত নেওয়া হবে বলে এর মধ্যে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। নতুন এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অভিযোগ করে বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন এর বিরোধিতা করেছে। আনিসুল বলেন, বিএনপি-জামাত সরকার কারও সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে ২০০৫ সালে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করেছিল। আজ আমরা সবার সাথে আলোচনা করে এটাকে কার্যকরী রূপ দিতে যাচ্ছি। হাই কমিশনের অভ্যর্থনাকক্ষে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি দীপু মনি ও হাই কমিশনার নাজমুল কাওনাইন বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী ও অন্য সংগঠনের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি, আইনজীবী ও সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক