স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার সাতদিন পর ওই ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, গতকাল রোববার সকালে উপজেলা শহরের বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে পরিবারের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, লিটন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা পুলিশ গত শুক্রবার মাসুদকে নিয়ে যায়। এরপর আর মাসুদ বাড়ি ফেরেননি বলে তার বড় ভাই গোলাম মুর্তজা টুকু জানান। গ্রেফতার আহসান হাবিব মাসুদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়া, এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পূর্ব অঞ্চলের জামায়াতের আমির সাইফুল ইসলাম ম-লকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সাইফুল ইসলাম একই ইউনিয়নের চেংমারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সুন্দরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলম বাদশা জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এদিকে এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার জামায়েত ইসলামীর ছয় নেতাকর্মীকে গতকাল রোববার রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুর হাসান ইউসুফ এ আদেশ দেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। এই আদালতে ছয় আসামিকে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে, সন্দেহভাজন হিসেবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে পুলিশ। গত ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমপি লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় এমপি লিটন ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। ওই যুবকরা হেলমেট পরা ছিল। একজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। অপর দুই যুবক ঘরে ঢুকেই এমপি লিটনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কাজের দু-তিনজন লোক ও তাঁর স্ত্রী ছাড়া কেউ ছিলেন না।
< Prev | Next > |
---|