আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৩০ জনের বেশি যাত্রীবহনকারী এয়ার ফ্রান্সের একটি ফ্লাইটের ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, ক্ষেপণাস্ত্রটি এয়ার ফ্রান্সের বিমানের ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি ছিল। বিমানটি যে রুট দিয়ে গেছে সেখানেই ১০ মিনিট পর ক্ষেপণাস্ত্রটি পৌঁছায়। এয়ার ফ্রান্সের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। বিমান কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ফ্লাইটটি ঝুঁকিতে ছিল না। তবে সতকর্তামূলক পদক্ষেপ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার আশপাশের এলাকায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যস্ত বিমান পথ অতিক্রম করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন। তাদের দাবি, ওই এলাকায় চলাচল করা বাণিজ্যিক বিমান যে কোনও সময় ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইটের গতিপথ অনুসারে দেখা যায়, যখন উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ছিল তাদের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি হোকাইদোর পশ্চিমে এবং জাপানের মূল ভূখ-ের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছিল। ২৮ জুলাই আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সফলতা দাবি করে উ. কোরিয়া। দেশটি দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। উ. কোরীয় নেতা কিম জন উন ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘ভয়াবহ সতর্কবার্তা’ বলে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: বিবিসি।
< Prev | Next > |
---|