বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩
Homeঅস্ট্রেলিয়াসিডনিতে বাংলাদেশি বংশোদভূত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী হত্যা ॥ কমিউনিটিতে শোঁকের ছায়া

সিডনিতে বাংলাদেশি বংশোদভূত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী হত্যা ॥ কমিউনিটিতে শোঁকের ছায়া

বিদেশবাংলা রিপোর্টঃ স্থানীয় সময় আজ ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে বাংলাদেশি তরুণীর আনিমা হায়াৎ এনির (১৯) মৃত্যুর দায়ে ব্যাঙ্কটাউন থানায় হাজির করার পর ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য গ্রীণ একর থেকে একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। মৃত আনিমা হায়াৎ এনি ল্যাকেম্বার ব্যবসায়ী ও অধিবাসী অবু হায়াৎ ও আফ্রাহ রুমার বড় মেয়ে। এনি ওয়েস্টার্ণ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোঁকের ছায়া নেমে আসে।

সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের কলের পর পাররামাট্টা পুলিশ এরিয়া কমান্ডের গোয়েন্দারা গতকাল ৩০ জানুয়ারী (রোববার) বিকেল সাড়ে চারটার টার দিকে উত্তর প্যারামাট্টার পেনান্ট হিলস রোডের একটি ইউনিটের বাথরুম থেকে আনিমা হায়াৎ এনির মৃত দেহ উদ্বার করে। পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জুলি বুন বলেছেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে ইউনিটের বাথরুমের ভিতরে রাসায়নিক পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি এই পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারছি না যে রাসায়নিকগুলি কি? স্ট্রাইক ফোর্স জেনোলার অধীনে এনির মৃত্যুর আশেপাশের পরিস্থিতিতে তদন্ত চলছে। মৃত্যুর কারণ এখনও এখনো জানা যায়নি। তবে সোমবার বা মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। যে কেউ এই ঘটনার বিষয়ে তথ্য পেলে ক্রাইম স্টপারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে: 1800 333 000।

এই এ্যাপার্টমেন্ট থেকে এনির মৃতদেহ উদ্বার করা হয়
এই এ্যাপার্টমেন্ট থেকে এনির মৃতদেহ উদ্বার করা হয়

পুলিশ বলেছে, আনিমা হায়াৎ এনির লাশ উদ্বার পুলিশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারা এসে ইউনিটের ভিতরে রাসায়নিক পদার্থ দেখে প্রথমে পিছু হটে। পুলিশ ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ এনএসডব্লিউ থেকে বিশেষজ্ঞ হাজমত অফিসারদের ডেকেছিল, যারা অ্যাপার্টমেন্টে বেশ কয়েক ঘন্টা কাটিয়েছিল এবং এরপর মৃতদেহ উদ্বার করে।

আটককৃত ট্রাক
আটককৃত ট্রাক

এবিষয় আনিমা হায়াৎ এনির পিতা অবু হায়াতোর সাথে যোগাযোগ করা হলে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ভাই পাকিস্তানি ছেলেটি আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে। ইয়ার ফাইভে আমার মেয়েকে এদেশে এনেছি। সে ওয়েস্টার্ণ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। কিছুদিন পর সে ডাক্তার হয়ে বের হত। আমার মেয়ে ডাক্তারী পোষাক পড়ে আমাকে বলেছে, দেখতো বাবা ডাক্তার হিসেবে আমাকে কেমন দেখায়? আমার সেই মেয়েটিকে হত্যা করল? এই কষ্ট আমি কিভাবে সহ্য করবো। আবু হায়াত আরো বলেন,আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন, সে যেন জান্নাতবাসী হয়।

এছাড়াও লাকেম্বা-বেলমোর চেম্বারস অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মাদ জামান টিটুর কাছে এই বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অবু হায়াৎ ভাই আমাদের প্রতিবেশী ব্যবসায়ী। তার মেয়ের মৃত্যুতে আমরা শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আনিমা হায়াৎ এনির দাফনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার চেস্টা করছি। গতকাল রাতে আমি নিজে ক্যাম্পসি পুলিশ স্টেশনে গিয়েছি এবং মধ্যরাত পর্যন্ত অবস্থান করছি। আমি সাবেক কাউন্সিলর এবং আমার স্ত্রী সাজেদা আক্তার সানজিদা বর্তমান কাউন্সিলর, আমরা সবসময় প্রবাসিদের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াবার সর্বাত্মক চেস্টা করছি। মহান আল্লাহ যেন আনিমা হায়াৎ এনিকে জান্নাতবাসী করেন।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

পপুলার পোস্ট

নতুন কমেন্টস