রমজানের রোজা ইসলামের আবশ্যকীয় মৌলিক বিধান। রমজানের ফরজ রোজার পাশাপাশি নফল রোজারও অনেক ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে নফল রোজা রেখেছেন এবং উম্মতকে তা পালনে যথাযথ উৎসাহ প্রদান করেছেন। নফল রোজার মধ্যে সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এবং মাসে তিন রোজার ফজিলত তুলে ধরা হলো-
সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা
সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এ দুই দিন রোজা পালন করা সুন্নত। কেননা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুই দিন রোজা রাখতে পছন্দ করতেন। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সোমবারের রোজা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন, ‘এ দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এ দিনে আমাকে নবুয়ত দেওয়া হয়েছে বা আমার ওপর কোরআন নাজিল হওয়া শুরু হয়েছে।’ -সহিহ মুসলিম : ১১৬২
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘(প্রতি সপ্তাহে) সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহতায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। কাজেই রোজাদার অবস্থায় আমার আমলগুলো আল্লাহর দরবারে পেশ করা হোকএমনটি আমি পছন্দ করছি।’ -সুনানে তিরমিজি : ৭৪৭
কোনো বর্ণনায় আছে, সোমবার নবী করিম (সা.) ইন্তেকাল করেন, সোমবার মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় রওনা করেন, সোমবার মদিনায় পৌঁছান এবং সোমবার তিনি হাজরে আসওয়াদ উত্তোলন করেন। নবী করিম (সা.) নিজে প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। সাপ্তাহিক রোজার এই আমল সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করতেন। নবী করিম (সা.)-কে নিখাদ ভালোবাসার দাবি হলোনবী করিম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের মতো সোমবার রোজা রাখা।
মাসে তিন রোজা
চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজার অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। চান্দ্রমাসের এই তিন দিনকে শরিয়তের পরিভাষায় ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। বিজ অর্থ সাদা বা আলোকিত। যেহেতু এই তিন দিনের রজনীগুলো ফুটফুটে চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত থাকে। তাই এগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে এভাবে বলেছেন, ‘হে আবু জর! যদি তুমি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা পালন করতে চাও, তাহলে (প্রতি চাঁদের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে তা পালন করো।’ -সুনানে তিরমিজি : ৭৬১