অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনার স্ত্রী-সন্তানসহ প্রাণ হারালেন বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক বাসুদেব সাহা, তার স্ত্রী শিবানী সাহা ও ছেলে ঢাকার আহসানউল্যাহ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল সাহা। ডাক্তার বাসুদেব সাহা হলেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি মৌসুমী সাহা ও তার স্বামী রাজেশ সাহার বড় ভাই। মৌসুমী সাহা ও রাজেশ সাহা সিডনির বাংলাদেশী কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবন্দ শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

ডাঃ বাসুদেব সাহার বড় ভাই জয়দেব সাহা জানিয়েছেন, তাদের মা বাড়িতে ভীষণ অসুস্থ। মাকে দেখতেই সে তার পরিবার নিয়ে সকালে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। আসার পথে ফেরিতে উঠে পরিবার নিয়ে সেলফি তুলে সে তার ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দেয়। দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তার সঙ্গে কথা হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানীর দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরবাইকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ডাক্তার-পরিবারসহ ৮ জন নিহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার-সার্ভিস ও পুলিশ অন্তত ৩০ জন আহতকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আরেকজন নিহত হন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, এই জায়গাটি মরণফাঁদ নামে পরিচিত। আমরা প্রতিটা সভায় এই রাস্তার দূর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অনুরোধ করছি কিন্তু কোন অবস্থাতেই দূর্ঘটনা ঠেকাতে পারছিনা। তবে প্রত্যদর্শীরা বলছেন মহাসড়কের উপর ধান-মাড়াইয়ের কারণই এখানে সড়ক দূর্ঘটনা হয়ে থাকে। ধান-মাড়াই বন্ধ না করলে আরো সড়ক দূর্ঘটনা হবে।